দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভিন্ন ধরণের এক ফরম্যাট উপহার দিলো আইসিসি। যুব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের পর শুরু হচ্ছে সুপার সিক্সের খেলা। তবে ভিন্নতা হলো এবার প্রথাগত ছয় দল নয়, বরং বারো দল নিয়ে হবে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স। থাকবে গ্রুপিং সিস্টেম। পয়েন্টের হিসেবেও থাকবে নতুন নিয়ম। তাতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে থেকেই সুপার সিক্সের ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। 

যুব বিশ্বকাপে এরইমাঝে গ্রুপ পর্বের সব খেলাই শেষ। ১৬ দলের এই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে ৪ দল। সুপার সিক্সের গ্রুপও নিশ্চিত। এবারের ফরম্যাট অনুযায়ী, প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা তিনটি দল পাবে সুপার সিক্স পর্বের টিকেট। সেখানে ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রুপের দলগুলো থাকবে একটি গ্রুপে। আরেক গ্রুপে থাকবে ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপের দলগুলো। এই দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল পাবে সেমি-ফাইনাল খেলার সুযোগ।

সুপার সিক্সের এক গ্রুপে ছয় দল থাকলেও, প্রতিটি দল ম্যাচ খেলবে দুটি করে। নিজ গ্রুপ বাদ দিয়ে অন্য গ্রুপের দুই দলের বিপক্ষে খেলবে দলগুলো। এমনকি সমপর্যায়ের দলের বিপক্ষেও খেলতে হবে না তাদের। ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে উঠে আসা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তাই ‘ডি’ গ্রুপের ১ম এবং ৩য় দল। 

আইসিসির নিয়মে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান এবং নেপাল। ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। আর ৩ ফেব্রুয়ারি খেলতে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। টিম ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য।  

তবে সুপার সিক্সে এই দুই ম্যাচে জিতলেও নিশ্চিন্ত হতে পারবে না বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের পয়েন্টও যুক্ত হবে এই পর্বে এসে। ভারতের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় কিছুটা ব্যাকফুটেই থাকবে টাইগার যুবারা। সুপার সিক্সে তাই শুধু জিতলেই হচ্ছে না, লক্ষ্য রাখতে হবে রানরেটের দিকেও। 

এই পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দুটি করে দল যাবে শেষ চারে। গত আসরগুলোর মতো এবার রাখা হয়নি কোনো স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। 

জেএ