পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচন কমিশনার শাহ খাওয়ারকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ (বুধবার) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে পিসিবি। ইতোমধ্যে লাহোরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান বোর্ডের সদরদপ্তরে হাজির হয়েছেন খাওয়ার, সেখানে পিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সালমান নাসেরসহ অন্যান্য পরিচালক ও স্টাফরা তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।

পিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ও পিসিবির নির্বাচন কমিশনার শাহ খাওয়ারকে প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আন্তপ্রদেশ সমন্বয় মন্ত্রণালয়ের ২৩ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপন এবং পিসিবি গঠনতন্ত্রের ধারা ৭(২) অনুসারে নির্বাচন কমিশনারকে পিসিবি চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।’

জানা গেছে, আগামী মাসে তার অধীনে পিসিবির স্থায়ী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগপর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন শাহ খাওয়ার। এর আগে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল— পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভি তিন বছর মেয়াদে পিসিবির চেয়ারম্যান হতে পারেন। তিনি বর্তমানে পিসিবির গভর্নিং বডির একজন সদস্য।

পিসিবির ওই বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন এই সভাপতি বলেন, ‘আমাকে পিসিবির দায়িত্বে নিয়োজিত করা ও আস্থা রাখায় আনওয়ার-উল-হক কাকারকে (পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী) অনেক কৃতজ্ঞতা। আমার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা।’

উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত সপ্তাহে জাকা আশরাফ পদত্যাগ করার পর পরিচালনা পর্ষদের প্রধান হিসেবে নাকভিকে নিয়োগ দেন পিসিবির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রমিজ রাজা পদত্যাগ করার পর থেকেই নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছাড়াই চলছে পিসিবি। বোর্ডের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান হিসেবে নাজাম শেঠিকে এর আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি দায়িত্ব ছাড়ার পর গত জুলাইয়ে তার স্থলাভিষিক্ত হন জাকা আশরাফ।

জাকা আশরাফের ওপর নতুন করে পিসিবির নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হওয়ায় গভর্নিং বডির সভায় তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন বলে দেশটির গণমাধ্যমে জানানো হয়। 

এএইচএস