সম্প্রতি পাকিস্তান ছেড়ে সরফরাজ আহমেদ পুরোপুরিভাবে সপরিবারে ইংল্যান্ডে চলে গেছেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। এমন তথ্য জানিয়েছিল দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি— হতাশা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে সরফরাজ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বিষয়টি নজর এড়ায়নি সাবেক এই পাক অধিনায়কের। এমন তথ্যকে বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সরফরাজ।

তার নেতৃত্বে পাকিস্তান একাধিক আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতলেও, বর্তমানে জাতীয় দলে সরফরাজ অনিয়মিত নাম। দীর্ঘদিন পর সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে পাকিস্তানের হয়ে পার্থ টেস্টে খেলেছিলেন তিনি। তবে ব্যর্থতার কারণে পরের দুই টেস্ট থেকে বাদ পড়েন। যদিও সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ জানান, চাঙা হওয়ার জন্য সরফরাজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে বাদ দিয়েও পরের দুই ম্যাচে হারের তিক্ততাই পেয়েছে বাবর-রিজওয়ানরা।

গত দিন দুয়েক আগে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ জানিয়েছিল— স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সরফরাজ এখন থেকে ইংল্যান্ডের লন্ডনে বসবাস করবেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা থেকে পুরোপুরি দেশ ছেড়ে গেছেন তিনি। পরে ওই খবরটি দেশটির গণমাধ্যমে অন্যতম আলোচিত ইস্যুতে পরিণত হয়। যা নিয়ে সামা টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন সরফরাজ।

পাকিস্তানকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানো এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমি পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না। এ ধরনের বানোয়াট খবর ছাপানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। এরকম ভুয়া খবর ছড়ানো দুঃখজনক।’

আরেকটি সংবাদমাধ্যম জিওসুপার বলছে, সরফরাজ লন্ডনে বেড়ানো শেষে শিগগিরই পাকিস্তানে ফিরবেন। সেখানে আগে থেকেই বসবাস করছেন তার স্ত্রী ও সন্তান। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), ওই টুর্নামেন্টে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে সরফরাজের।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। তার আগের বছর (২০০৬) সরফরাজের নেতৃত্বে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান। ২০১৭ সালে আবার সরফরাজের অধীনেই একই প্রতিপক্ষ ভারতকে হারিয়ে পাকবাহিনী আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সরফরাজ। সে সময় অধিনায়কত্ব হারানোর পাশাপাশি দলেও অনিয়মিত হয়ে পড়েন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। ফলে ২০২২ সালের নভেম্বরের আগে তিনি টেস্টেও ডাক পাননি।

এএইচএস