বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় ও সেরা ফুটবলার পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যদিও ইউরোপীয় ক্লাব ছেড়ে তিনি পাদপ্রদীপের আলো থেকে অনেকটাই দূরে চলে গেছেন। তবে ৩৮ বছর বয়সেও হাড়ের জোর দেখাতে ভোলেন না তিনি। যার প্রমাণ— ২০২৩ সালে সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা সিআরসেভেন। এর সুবাদে গতকাল (শুক্রবার) আল-নাসর তারকার হাতে উঠেছে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডস। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন– সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করতে ভালোবাসেন।

এদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফিফা, উয়েফা, ইসিএ এবং প্রধান ক্লাবগুলোর তারকা ফুটবলার ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। যেখানে তিনটি ক্যাটাগরি পুরস্কার জিতেছেন রোনালদো। সেরা গোলদাতা, ভক্তদের ভোটে সেরা পছন্দের ফুটবলার এবং মধ্যপ্রাচ্যের সেরা খেলোয়াড়ের পদক উঠেছে তার হাতে।

গ্লোব সকারে সেরা গোলদাতার পুরস্কার হাতে রোনালদো

এমন সম্মাননা পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পর্তুগিজ তারকা বলেন, ‘গতবছর আমার সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না। সেই সময়ে অনেকেই আমার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ করছিল। যদিও আমি এসবে বিন্দুমাত্র পরোয়া করি না। নিজের মতো করে খেলে যাচ্ছিলাম এবং সত্যি বলতে গেলে আমি নিজের সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করতে খুবই ভালোবাসি।’

অল্প সময়ের ভেতর ৩৯ বছরে পা দেবেন এই জনপ্রিয় ফুটবল তারকা। বয়সের দৌড় বেড়ে চললেও তরুণ ফুটবলারদের টেক্কা দেওয়া নিয়েও কথা বলেন রোনালদো, ‘খুব শিগগিরই আমি ৩৯ বছরে পা দেব। এই বয়সে এসে তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মজাটাই আলাদা। সত্যি বলতে গেলে আমার গর্ববোধ হচ্ছে এটা ভেবে যে আর্লিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপের মতো তরুণ প্রতিভাদের ছাপিয়ে আমি সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছি।’

এছাড়াও ‘সৌদি প্রো লিগ’কে ফরাসি লিগের ওপরে বলে খোঁচাও দিয়েছেন এমবাপেকে। অবশ্য ওই লিগটিতে আগের মৌসুমেও খেলেছেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। ফলে এর আগে ফ্রেঞ্চ লিগকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি সিআরসেভেন। আবারও একই সুর গলায় চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এক বছর হলো এই টুর্নামেন্ট (সৌদি লিগ) খেলছি এবং আমি এখানে দাঁড়িয়ে এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে লিগ-১ এর তুলনায় সৌদি প্রো লিগ অনেক কঠিন। ফ্রেঞ্চ লিগের চেয়ে আমরা এখন অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছি।’

এক ফ্রেমে পুরস্কৃতদের সবাই

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে আল-নাসরে যোগ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার। এরপর ওই বছরের মাঝপথে তার পথ ধরে নেইমার জুনিয়র, করিম বেনজেমাসহ আরও অনেক তারকা সৌদি লিগটিতে পাড়ি জমান। প্রথম মৌসুমটা আশানুরূপ না হলেও, ২০২৩ শেষে সবচেয়ে বেশি গোল জমা হয়েছে রোনালদোর নামের পাশে। পর্তুগাল ও ক্লাব মিলিয়ে তিনি ৫৯ ম্যাচে ৫৪ গোল করেছেন, অ্যাসিস্ট করেন আরও ১৩ গোলে। এছাড়া ওই বছর ফরাসি তারকা এমবাপে ও ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন ৫২ এবং ম্যানসিটির নরওয়েজিয়ান তারকা হালান্ড ৫০টি গোল করেন।

এএইচএস