প্রায় ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা। যা নিয়ে সরগরম ভারত-পাকিস্তানের গণমাধ্যম। যার শুরুটা হয়েছে শোয়েব মালিকের একটি পোস্টের সূত্র ধরে। যেখানে তিনি পাকিস্তানের মডেল-অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়ের দুটি ছবি শেয়ার করেছেন। এরপর প্রশ্ন উঠছে টেনিস তারকা সানিয়ার সঙ্গে তার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছিল কি না! এ নিয়ে কথা বলেছে দুজনের পরিবার।

ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা বলছেন, ধর্মীয় আইন ‘খুলা’ পদ্ধতি মেনেই সানিয়া এবং শোয়েবের ডিভোর্স হয়েছে। শরীয়া আইন অনুযায়ী— ‘খুলা’ হল মহিলাদের একটি অধিকার যার মাধ্যমে তারা একপাক্ষিক ভাবে স্বামীকে বিচ্ছেদ দিতে পারেন। সেই আইনের মাধ্যমেই সানিয়া শোয়েবকে বিচ্ছেদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি সানিয়ার বাবা।

তবে ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের সংবাদমাধ্যমই বলছে, ২০২২ সালের শেষদিকে মালিক-সানিয়ার বিচ্ছেদ হয় বলে গুঞ্জন শোনা গেছে। এনডিটিভি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী– মূলত ওই সময়ের পর থেকেই দুজনকে একসঙ্গে আর দেখা যায়নি। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিজেদের পুরোনো ছবিগুলো সরিয়ে দেওয়া হয় ধীরে ধীরে।

পাকিস্তানের জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানি ক্রিকেটার মালিকের অন্য নারীর সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি মানতে পারেননি ৩৭ বছর বয়সী সানিয়া। ফলে অসন্তুষ্টি থেকে তিনি দীর্ঘদিন শোয়েবের প্রতি অনাগ্রহ দেখান। পরবর্তীতে ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে নিজেদের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় টেনিস তারকা।

এদিকে, অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালিকের ম্যানেজার আরসালান শাহ। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘কনফার্মেশন : আমাদের প্রিয় তারকা শোয়েব মালিক সানা জাভেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। নতুন দম্পতির সুখী ও আনন্দপূর্ণ জীবনের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

মালিকের নতুন বিয়েতে অসন্তুষ্ট পরিবার

সূত্রের বরাতে জিও নিউজ মালিকের এই বিয়েতে পরিবার খুশি নয় বলে উল্লেখ করেছে। সে কারণে নাকি পরিবারের কোনো সদস্য তাদের বিয়েতেও উপস্থিত হননি। এমনকি সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়ও মালিকের পরিবার মানতে পারেননি বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।

মালিকের বোনজামাই ইমরান জাফর বলেছেন, তাদের বিয়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জেনেছি। পরিবারের কেউ তাদের বিয়েতে অংশ নেয়নি।

এএইচএস