সাফল্যের সন্ধানে মরিয়া পাকিস্তান আর কত কী করলে জয়ের দেখা পাবে, তা বলা মুশকিল। বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স দেখিয়ে নকআউটের আগেই বিদায় হয়েছে তাদের। এরপর জলঘোলা কম করা হয়নি। অধিনায়ক বাবর আজম সরে গিয়েছেন। দুই কোচকে বিদায় করা হয়েছে। মোহাম্মদ হাফিজ এসেছেন কোচ হয়ে। ওয়াহাব রিয়াজকে করা হয়েছে নির্বাচক। 

এরপরেও জয় আসেনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন টেস্টে হার। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার টি-টোয়েন্টি হার। এতকিছুর পর ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি জাকা আশরাফই এবার সরে গেলেন। অবশ্য তার সরে যাওয়া অপ্রত্যাশিত নয় মোটেই। বরং ফেব্রুয়ারিতেই সরে যেতে হতো তাকে। হিসেব অনুযায়ী, দশদিন আগেই ছাড়লেন পদ। 

গত বছরের জুলাইয়ে আইএমসির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আশরাফকে। সেই কমিটিতে ছিলেন ১০ সদস্য। এই কমিটির দায়িত্ব ছিল চার মাসের মধ্যে বোর্ডের চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা করতে না পারায় গত নভেম্বরে কমিটির মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ান পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। তবুও পিসিবিতে নির্বাচন হয়নি। 

এদিকে জাকা আশরাফের পর এই বোর্ডের প্রধান হিসেবে কে দায়িত্ব নেবেন, সেটা এখনো পিসিবির পক্ষে জানানো হয়নি। তবে তার এমন সরে যাওয়া কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে পাকিস্তানের ক্রিকেটকে। গত কয়েকমাসে ব্যাপক রদবদলে অস্থির সময় পার করেছে তারা। 

বিশ্বকাপের পর টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার, প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন ও ব্যাটিং কোচ অ্যান্ড্রু পাটিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় আশরাফের কমিটি। তাদের লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে পদত্যাগ করেন তিনজনই। আবার বাবর আজমকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিতে তার প্রচেষ্টার ফোনালাপও ফাঁস হয়েছে দুবার।  

গত নভেম্বরে ব্যবস্থাপনা কমিটিরই একজন সদস্য অভিযোগ আনেন, আশরাফের সময়েই বোর্ডে অসন্তোষ ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি। সেটি প্রশাসনের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই।

জেএ