প্রায় দেড়বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরার অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে ফিরেছিলেন ডাক (শূন্য) নিয়ে। এরপর তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি রান করলেন সুদে-আসলে! যার মাধ্যমে রোহিত সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন। তরুণ ব্যাটসম্যান রিংকু সিংকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের সংগ্রহ নিয়ে গেছেন দুইশ’র ওপারে। 

এই দুজনের জুটি শেষ ওভারে করিম জানাতের বলে নিয়েছেন ৩৬ রান। শেষ ওভারে রানের গ্রাফ ছিল এমন— ৪-৭ (নো বল)-৬-১-৬-৬-৬। এর মাধ্যমে তারা যুবরাজ সিং এবং কাইরন পোলার্ডের রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলেন। এই দুই ব্যাটসম্যান এক ওভারে যথাক্রমে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে নজির গড়েছিলেন। তবে আজ রোহিত-রিংকু দু’জনে মিলে করেন সমান ৩৬ রান।

পাশাপাশি পঞ্চম উইকেটে ৯৫ বলে অপরাজিত ১৯০ রানের পার্টনারশিপ গড়েও টি-টোয়েন্টিতে নতুন নজির গড়েন রোহিত-রিংকু। পঞ্চম উইকেট জুটিতে যা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ভারত যখন ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে, তখনই হাল ধরেন দুই ব্যাটসম্যান। এই জুটি এরপর বিস্ফোরণ ঘটান। দুই তারকাই ছুটিয়েছেন চার-ছক্কার ফুলঝুরি। তাদের দাপটে ভারত শেষপর্যন্ত নির্দিষ্ট ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করে।

এর আগে প্রথম দু’ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর কটুক্তির মুখে পড়তে হয়েছিল রোহিতকে। এদিন যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিলেন ভারত অধিনায়ক। দলের বিপর্যয় সামলে ব্যক্তিগত রেকর্ডও পূর্ণ করলেন। পাশে পেলেন রিংকুকে। বিধ্বংসী মেজাজে ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন রোহিত। এরপর তিনি ঝড়ের গতি আরও বাড়ান। ৬৪ বলে পৌঁছান ম্যাজিক ফিগারে। অন্যতম সেরা ইনিংস। ৬৯ বলে ৮টি ছয়, ১১টি চারের বাউন্ডারিতে শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি রোহিতের পঞ্চম সেঞ্চুরি। যা ফরম্যাটটিতে সর্বোচ্চ ম্যাজিক ফিগারের রেকর্ড। তার পরে যৌথভাবে চারটি করে সেঞ্চুরি আছে অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ভারতের সূর্যকুমার যাদবের। তিনটি করে সেঞ্চুরি আছে তিনজনের। পাকিস্তানের বাবর আজম, নিউজিল্যান্ডের কোলিন মানরো ও চেক রিপাবলিকের সাবাউন দাভিজি সমানসংখ্যক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।

ভারতের হয়ে এদিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিংকু সিংও। তিনি মেরেছেন ২টি চার ও ৬টি ছক্কার বাউন্ডারি। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। এর আগেই দুই ম্যাচ জিতে স্বাগতিকরা সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছে।

এএইচএস