বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর শুরু হচ্ছে আগামী শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে। তার আগেই টুর্নামেন্টটির সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএলের রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। যা নিয়ে ২০২২ সালেই গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছিল— রাজস্ব ভাগাভাগির কোনো মডেলে আগ্রহী নন তারা। তবুও এবার নতুন করে নাফিসা কামালের তোলা সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিসিবির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন।

এর আগে বিপিএল ব্রডকাস্টিংয়ের রাজস্ব না পাওয়ার অসন্তোষ নিয়ে নাফিসা কামাল বলেন, ‘এটা শতভাগ সত্য, রাজস্ব ভাগাভাগি না হলে আমরা আগামী বিপিএলে থাকবো না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স টিকিট রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস ও মিডিয়া রাইটসের একটা অংশ চায়। আমরা কত আগে বিপিএল শুরু করেছি। অথচ এত বিশাল জনসংখ্যা নিয়েও আমরা ব্রডকাস্টিংয়ে অনেক পিছিয়ে। বিসিবি যদি আমাদের টিকিট রাইটসের ৫০ শতাংশও দেয়, তাহলে একটি টিকিটও অবিক্রিত থাকবে না। কিন্তু বিসিবি সেই রাইটস আমাদের দেয় না। মিডিয়া, গ্রাউন্ড রাইটসের বেলাতেও একই পন্থা অনুসরণ করা হচ্ছে।’

পরবর্তীতে বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন তার এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা একটি টেকসই বিপিএল করতে চাচ্ছি। সেটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের জন্য নয়, এটা সব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্যও। যে সমস্ত লভ্যাংশ ভাগের মডেলকে উদাহরণ হিসেবে আনা হচ্ছে, সেই লীগগুলোতে কিন্তু ফ্যাঞ্চাইজি ফিস বলেন বা অন্যান্য আর্থিক কাঠামো অনেক উপরে। তারা যে মডেলে করছে আমরা সেই মডেলে যাচ্ছি না আর সেটা আমাদের জন্য টেকসই হবে না ফ্যাঞ্চাইজি ফি’সহ আর্থিক দিক বিবেচনায়। সেক্ষেত্রে এটা তুলনা যোগ্য নয়। আমরা আমাদের বাজার ও সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী এটা করি। এ বিষয়ে লভ্যাংশ ভাগে বোর্ডের আগে যে অবস্থান ছিল এখনও সেটাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ভাগের যে মডেল, আমরা ওভাবে যাচ্ছি না, চিন্তাও করতে পারছি না বর্তমান প্রেক্ষাপটে। এর বাইরে গেলে আমাদের জন্য বিষয়টা সামলানো কঠিন হবে। আমার মনে হয় আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলাদা করে বসলে তাদের বোঝাতে সক্ষম হব যে, আমরা কি মডেল করছি আর অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলো কি মডেলে হচ্ছে। এটা হলে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারবে।’

রাজস্ব নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে অন্তত বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে বৈঠকেরও আশা করেন বলে জানিয়েছিলেন কুমিল্লার মালিক নাফিসা। এ নিয়ে বিসিবি কর্মকর্তা সুজন বলেন, ‘কাউকে রেফারেন্স হিসেবে নিচ্ছি না, তবে আমাদের সঙ্গে কিন্তু বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল বলেন বা বোর্ডের সঙ্গে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নির্দিষ্ট কারও কোনো অভিযোগ থাকলে সেগুলো আমরা দেখি এবং আলাপ করা হয়। বিশেষ করে যখন আমাদের টুর্নামেন্ট শুরু হয় প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। তাদের যেকোনো বিষয় যখন যেটা আসে আমরা দেখার চেষ্টা করি।’

নতুন করে কেউ বিষয়গুলা নিয়ে বসতে চাইলেও রাজি বলে জানান বিসিবির এই সিইও, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে বসার মতো কোনো বিষয় যদি আসে আমরা অবশ্যই বসব। এর আগের সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের কোনো কমিটমেন্ট করেছি কি না মনে পড়ছে না। যদি কারও আমাদের সঙ্গে বসতে হয়, তাহলে অলওয়েজ ওয়েলকাম।’

এসএইচ/এএইচএস