ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির নামে আসছে ফিফার বিশেষ পুরস্কার
ফুটবলের ঐতিহ্যে আর সাফল্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ ব্রাজিল। প্রতিদ্বন্দ্বীতা যেমনই হোক, এই বিষয়ে আপত্তির সুযোগ নেই বললেই চলে। পেলে, জিকো, সক্রেটিস, জাগালোদের এই দেশ ফুটবল বিশ্বকে উপহার দিয়েছে অজস্র স্মরণীয় মুহূর্ত। তবে, ফুটবল যেন সেখানে একটু বেশিই একপেশে। ছেলেদের ফুটবলে ৫ বার সাফল্য পাওয়া ব্রাজিল নারী ফুটবলে এখনো অনেকটাই পিছিয়ে।
রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলে মেয়েরা এখন পর্যন্ত কাপ হাতেই নিতে পারেনি। আর তারকার বিচারেও আছে বিশাল শূন্যতা। তবে, নারী ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়টাও ব্রাজিলেরই। মার্তা নামটাই নারী ফুটবলের বড় এক ব্র্যান্ড। সর্বকালের অন্যতম সেরা নারী ফুটবলার, ছয়বার ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের স্বীকৃতি এরই প্রমাণ।
বিজ্ঞাপন
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে মার্তা পেলেন আরও বড় সম্মান। লন্ডনে ফিফা দ্য বেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন মার্তা। ক্যারিয়ারজুড়ে অর্জিত অনন্যসাধারণ সব অর্জনের জন্য ফিফার বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সেই পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আওকি।
আরও পড়ুন
মার্তাকে সম্মাননা জানানোর দিনে তার নামে নতুন এক পুরস্কার প্রবর্তনেরও ঘোষণা করেছে ফিফা। ২০২৫ সাল থেকে মেয়েদের সেরা গোলের জন্য আলাদা পুরস্কার দেওয়া হবে ফিফা দ্য বেস্টে। সেরা গোলের সেই পুরস্কারের নাম হবে মার্তা পুরস্কার। পুরুষ ফুটবলের জন্য বরাদ্দ থাকবে পুসকাস অ্যাওয়ার্ড। যা আবার হাঙ্গেরির ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঙ্ক পুসকাসের নামে প্রবর্তিত।
এই মুহূর্তে সেরা গোলের পুরস্কারে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ নেই। পুসকাস পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হন সবাই। মেয়েদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৭ গোলের মালিক মার্তাকে সম্মান জানাতেই সেরা গোলের পুরস্কারটাকে দুই ভাগে ভাগ করল ফিফা।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের জার্সিতে বড় সাফল্য না পেলেও মার্তা ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা পাঁচবার ফিফার বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন। টানা বর্ষসেরার যে রেকর্ডে তিনি ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসিকেও। আট বছর বিরতির পর ২০১৮ সালে আবার বর্ষসেরা হন মার্তা।
জেএ