আবারও চোখের সমস্যায় আক্রান্ত সাকিব আল হাসান। বিপিএল শুরুর আগে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ব্যাটিং অনুশীলনে সাকিব উপস্থিত হয়েছেন চোখে চশমা নিয়ে। চোখের রেটিনার সমস্যায় বাংলাদেশের অধিনায়ক ভুগছিলেন বিশ্বকাপের সময় থেকেই। মাঝে খানিক সুস্থ হলেও, বিপিএল শুরুর আগে আবারও দেখা গেল চোখের সমস্যা। 

সাকিবের চোখের সমস্যার কথা নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক। জানিয়েছেন সাকিবের মানসিক চাপের কারণেই মূলত এমন সমস্যা। নির্বাচনের আগে সাকিবও অবশ্য জানিয়েছিলেন এই তথ্য। 

ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল সাকিবের চিকিৎসা নিয়ে। জবাবে দেবাশীষ জানালেন বিপিএলের কথা বিবেচনায় এখনই বাইরের কোনো ডাক্তারের কাছে নেওয়া হচ্ছে না তাকে।  

দেবাশীষ বলেন, 'না এখনো ঠিক হয়নি (বাইরের চিকিৎসক দেখানো) বিপিএল শুরু হবে তো। আমরা একটা রুটিন টেস্ট করিয়েছি সাকিবের। এখন দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। সমস্যাটা আছে তবে বাড়ে অথবা কমে। নির্ভর করে স্ট্রেসের উপর বাড়ে বা কমে। কখনো ভালো থাকে আবার কখনো বাড়ে। বিপিএল শুরু হয়ে যাচ্ছে এখন বাইরে যেতে হলে তো অনেক ব্যাপার আছে। দেশে আমরা চেক আপ করিয়েছে অলরেডি, আজকে ব্যাটিং করুক না দেখি কি বলে তখন।'

এর আগে ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পুরোটা সময়েই চোখের রেটিনার সমস্যায় ভুগেছিলেন তিনি। যার কারণে সমস্যা হয়েছিল শট খেলতে গিয়ে, ‘‘বিশ্বকাপে কেবল এক কিংবা দুই ম্যাচের জন্য না, বরং পুরোটা বিশ্বকাপই আমি চোখের সমস্যায় ভুগেছি।’ 

সাকিব নিজের সমস্যা নিয়ে বলেছিলেন, ‘যখন আমি সেখানে (ভারতে) ডাক্তারের কাছে যাই, তখনও আমার কর্ণিয়া বা রেটিনায় পানি জমে ছিল। তারা আমাকে ড্রপ্স দিয়েছিল আর এও বলা হয়েছিল মানসিক চাপ কমাতে। আমি জানিনা এটাই সমস্যার (চোখের দৃষ্টি কমে আসা) কারণ কিনা। কিন্তু যখন আমি আবার আমেরিকায় (বিশ্বকাপের পর) পরীক্ষা করাই, আমার কোনো চাপ ছিল না। আমি ডাক্তারকে বলেছিলাম, বিশ্বকাপ নেই। তাই চাপও নেই। 

চিকিৎসাশাস্ত্রের বক্তব্য, কোন ব্যক্তি ব্যাপক পরিমাণ মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে তার চোখে সমস্যা দেখা দিতে পারে। চোখ মস্তিষ্কের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায়, স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ চোখের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই হরমোনের নিঃসরণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। যাতে দৃষ্টিশক্তিতে বাঁধা দেখা দেয়। সাকিবও আপাতত ভুগছেন সেই সমস্যায়। 

এসএইচ/জেএ