বিশ্বকাপের আগেই মাঠে ফিরতে চান এবাদত
ঘরের মাটিতে গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে ইনজুরিতে পড়েছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। হাঁটুর সেই চোটে পড়ার পর এখন পর্যন্ত মাঠে ফেরা হয়নি টাইগার এই পেসারের। ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও এবাদত খেলতে পারেননি। এবার শঙ্কা জেগেছে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও। তবে এবাদতের বিশ্বাস— বিশ্বকাপের আগেই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।
আজ (শনিবার) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সামনে টাইগার এই পেসার বলেন, ‘আমি তো আশা করি বিশ্বকাপের আগেই ফিরব, ইনশা-আল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালো যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যেভাবে মেডিকেল বিভাগ সাপোর্ট দিচ্ছে…রিহ্যাবটা খুব ভালো করছি। স্ট্রেংথ ফিরে পাচ্ছি। আশা করি সামনে ভালো কিছুই হবে।’
বিজ্ঞাপন
এবাদতের কোনো তাড়াহুড়ো নেই, স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মেনেই এগোতে চান তিনি, ‘তাড়াহুড়ো করছি না। আমি যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি, খুব ভালোভাবে এগোচ্ছি। গত পরশু (বৃহস্পতিবার) আমার দুই পায়ের পেশির মাপ নেওয়া হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালোই রিকভার হয়েছে। এজন্যই মনে হচ্ছে, কষ্ট যেটা করছি সেটার ফলটা খুব ভালো পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন
এরপর দীর্ঘ সময় খেলতে না পারার আক্ষেপও জানান এবাদত, ‘আমি খেলোয়াড়, কিন্তু খেলতে পারছি না। ওরা বোলিং করছে, ম্যাচ খেলছে। কষ্ট লাগবেই, স্বাভাবিক। মনে হয় একটু বল ধরি, একটু বোলিং করি। এজন্য সেদিন দাঁড়িয়ে একটু বোলিং করা। যদিও বোলিং করাটা এখনও শুরু হয়নি। আস্তে আস্তে দৌড়ানো শুরু করব। এরপর একটু একটু করে বোলিং।’
উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হবে। ৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে বাংলাদেশের। গ্রুপ অব ডেথখ্যাত ‘ডি’-তে পড়েছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। গ্রুপ ‘এ’-তে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান আছে আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে। ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। আর ‘সি’ গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।
এসএইচ/এএইচএস