ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নবম আসরের সূচি চূড়ান্ত করেছে পিসিবি। ১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ছয় দলের এই প্রতিযোগিতা চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। সর্বশেষ আসরসহ দুই বারের চ্যাম্পিয়ন শাহিন শাহ আফ্রিদির দল লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচ দিয়ে আসন্ন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হবে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ শাদাব খানের ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, তারাও ২০১৬ এবং ২০১৮ আসরে চ্যাম্পিয়ন।

পাকিস্তানের চারটি শহরে হবে এবারের পিএসএল আসর— করাচি, লাহোর, মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডি। সর্বমোট ৩৪ ম্যাচের টুর্নামেন্টটিতে সর্বোচ্চ ১১ ম্যাচের আয়োজন করবে করাচি— যেখানে কোয়ালিফায়ার রাউন্ড, দুটি এলিমিনেটর ম্যাচ ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ৯টি করে ম্যাচ। এছাড়া মুলতানের মাঠে গড়াবে ৫ ম্যাচ।

আসরের প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দল পরস্পর দু’বার করে মুখোমুখি হবে। লাহোর ও করাচি কিংসের মধ্যকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ৯ মার্চ। প্রথমটি হোম ম্যাচে আয়োজন করবে লাহোর, পরেরটি হবে করাচির মাঠে। আগের আসরের মতো প্রতিটি ভেন্যু টানা ম্যাচ আয়োজন করবে। ফলে প্রায় ম্যাচের মাঝে ক্রিকেটারদের ভ্রমণক্লান্তি হবে কম। প্রথম দুটি লেগ হবে মুলতানে, পরের ১৪ ম্যাচ (১৭-২৭ ফেব্রুয়ারি) লাহোর, ১৬ ম্যাচ (২৮ ফেব্রুয়ার-১২ মার্চ) রাওয়ালপিন্ডি এবং প্লে-অফের সব ম্যাচ হবে করাচিতে।

উল্লেখ্য, পিএসএলের এবারের আসরে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারকেই নেয়নি কোনো দল। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের ২১ জন ক্রিকেটার ড্রাফটে ছিলেন। লাহোরের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে অনুষ্ঠিত নিলামে ৬টি ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়দের নাম ডাকা হয়। পরে পাকিস্তান ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ৪০ জন ক্রিকেটারকে দলে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এর আগে দলগুলো ক্রিকেটারদের বড় একটি অংশকে রিটেশন লিস্টে ধরে রাখে। এদিকে পিএসএলে প্রথমবারের মতো দল পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ড্যানিয়েল স্যামস, দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হেন্ড্রিক্স ও লুঙ্গি এনগিডি।

পিএসএল ২০২৪ এর সূচি

পিএসএলের ৬ দলের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

করাচি কিংস

শান মাসুদ (অধিনায়ক) কাইরন পোলার্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ড্যানিয়েল স্যামস (অস্ট্রেলিয়া), মোহাম্মদ নওয়াজ, জেমস ভিন্স (ইংল্যান্ড), হাসান আলি, টিম সেইফার্ট (নিউজিল্যান্ড), শোয়েব মালিক, তাব্রাইজ শামসি (দক্ষিণ আফ্রিকা), মীর হামজা, মোহাম্মদ আখলাক, মোহাম্মদ আমির খান, আনোয়ার আলি, আরাফাত মিনহাজ, মোহাম্মদ ইরফান খান, সিরাজউদ্দিন , সাদ বেগ ও জেমি ওভারটন (ইংল্যান্ড)।

লাহোর কালান্দার্স

শাহিন শাহ আফ্রিদি (অধিনায়ক), ফখর জামান, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), হারিস রউফ, ডেভিড ভিসা (নামিবিয়া), শাহিবজাদা ফারহান, সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে), আব্দুল্লাহ শফিক, জামান খান, মির্জা তাহির বেগ, রাশিদ খান (আফগানিস্তান), মোহাম্মদ ইমরান, আহসান ভাট্টি, ড্যান লরেন্স (ইংল্যান্ড), জাহানদাদ খান, সৈয়দ ফরিদুন মাহমুদ, শাই হোপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও কামরান গুলাম।

ইসলামাবাদ ইউনাইটেড

শাদাব খান (অধিনায়ক), নাসিম শাহ, জর্ডান কক্স (ইংল্যান্ড), ইমাদ ওয়াসিম, আজম খান, তাইমাল মিলস (ইংল্যান্ড), ফাহিম আশরাফ, অ্যালেক্স হেলস (ইংল্যান্ড), কলিন মুনরো (নিউজিল্যান্ড), রুম্মন রাইস, ম্যাথু ফোর্ডে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), সালমান আলি আগা, কাশিম আকরাম, শাহাব খান, হুনাইন শাহ, উবাইদ শাহ, শামিল হুসাইন ও টম কারেন (ইংল্যান্ড)।

পেশোয়ার জালমি

বাবর আজম (অধিনায়ক), রভম্যান পাওয়েল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), নুর আহমেদ (আফগানিস্তান), সাইম আইয়ুব, টম কোহলার-ক্যাডমোর (ইংল্যান্ড), আসিফ আলি, মোহাম্মদ হারিস, আমির জামাল, নাভিন উল হক, খুররাম শেহজাদ, সালমান ইরশাদ, আরিফ ইয়াকুব, উমাইর আফ্রিদি, ড্যানিয়েল মোসলে (ইংল্যান্ড), হাসিবুল্লাহ, মোহাম্মদ জিশান, লুঙ্গি এনগিডি (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও মেহরান মুমতাজ।

মুলতান সুলতান্স

মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), ইফতিখার আহমেদ, ডেভিড উইলি (ইংল্যান্ড), খুশদিল শাহ, উসামা মীর, ডেভিড মালান (ইংল্যান্ড), আব্বাস আফ্রিদি, রেজা হেন্ড্রিক্স (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিস টপলি (ইংল্যান্ড), ইহসানউল্লাহ, তায়েব তাহির, শাহনেওয়াজ দাহানি, মোহাম্মদ আলি, উসমান খান (সংযুক্ত আরব আমিরাত), ফয়সাল আকরাম, ইয়াসির খান, ক্রিস জর্ডান (ইংল্যান্ড) ও আফতাব ইব্রাহিম।

কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স

সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), রাইলি রুশো (দক্ষিণ আফ্রিকা), শেরফানে রাদারফোর্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, জেসন রয় (ইংল্যান্ড), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), সরফরাজ আহমেদ, আবরার আহমেদ, মোহাম্মদ হাসনাইন, উইল স্মিদ (ইংল্যান্ড), সৌদ শাকিল, সাজ্জাদ আলি জুনিয়র, উসমান কাদির, ওমাইর বিন ইউসুফ, আদিল নাজ, খাজা নাফাই, আকিল হোসেন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও সোহেল খান।

এএইচএস