মাগুরা-১ আসন থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আজ (বুধবার) তিনি শপথবাক্য পাঠ করেছেন। পরবর্তীতে ক্রিকেটের বাইরে নতুন এই দায়িত্ব পালনের বিষয়েও কথা বলেন সাকিব। দীর্ঘ সময়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করাকে তিনি ‘টেস্ট ম্যাচের মতো’ খেলার কথা জানিয়েছেন।

শপথ গ্রহণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি কাজ করার যদি সুযোগ পাই, যদি সুযোগ হয় তাহলে সেভাবে কাজ করে যেতে চাই। মানুষ যেভাবে ভালবেসেছে সেটার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব। দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। টেস্ট ম্যাচের মতো মনে করে খেলতে হবে। সেজন্য আমি প্রস্তুত আছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে টাইগার ক্রিকেটার বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে এক নম্বর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জায়গা কেউ নিতে পারবে না। তার থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি আমি কাজ করতে পারি, আমার মনে হয় সেটাই আমার জন্যে যথেষ্ট হবে। একইসঙ্গে কোনো দায়িত্ব এলেও সেটা পালনে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

এদিন সকালে শেরেবাংলা নগরের সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথ কক্ষে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।

নতুন পরিচয় পেলেও, একইসঙ্গে ক্রিকেটটাও চালিয়ে যেতে চান সাকিব। আপাতত তার মনোযোগ আসন্ন বিপিএল আসরের দিকে। নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি অনুশীলন শুরু করেছেন। এর আগে ৬ নভেম্বর জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে আঙুলে চোট পান তিনি, যদিও তা নিয়েই টাইগার অধিনায়ক পুরো ম্যাচ খেলেছিলেন। পরে আঙুলে চিড় ধরা পড়ে, যে কারণে ৪-৬ সপ্তাহের জন্য সাকিব ছিটকে পড়েন মাঠের বাইরে। তাই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না দলে।

এসএইচ/এএইচএস