প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে করা অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে পুরো ভারতে চলছে বয়কট মালদ্বীপ (Boycott Maldives) ট্রেন্ড। দেশটির রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে, অভিনেতা কিংবা সেলেব্রেটিরা যোগ দিয়েছেন মালদ্বীপ বয়কটের কাতারে। এবার তাতে যোগ দিয়েছেন ভারতের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তালিকায় নাম আছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার এবং সুরেশ রায়নারও। 

সম্প্রতি মোদি ভারতের লাক্ষাদ্বীপ সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। যেখানে ভারতীয়দের মালদ্বীপের বদলে সেই দ্বীপে ভ্রমণেরও আবেদন করেছিলেন তিনি। সে দ্বীপটি মালদ্বীপ থেকে খুব দূরে নয়। এর বিপরীতে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী ও কয়েকজন নেতা মোদির বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

এমন অজস্র টুইটে ভাসছে ভারত

কিছু ছবিতে তাকে জোকার বা ভাড় বলে মন্তব্য করা হয়। ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক টেনে এনেও তাকে বিরূপ মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে মালদ্বীপের মন্ত্রী-রাজনীতিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সেসব মন্তব্য মুছে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সমালোচনার জোয়ার সামাল দেওয়া হয়নি। 

এরপর তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তও করে মালদ্বীপের চীনপন্থী মোহামেদ মুইজ্জুর সরকার। ওই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেও নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত দ্বীপরাষ্ট্রটির হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তপ্ত ভারত এবং মালদ্বীপের পারস্পরিক সম্পর্ক। 

এরপরেই শুরু হয় বয়কট মালদ্বীপের ডাক। শতশত ভারতীয় নাগরিকের মত তাতে যোগ দিয়েছেন ক্রিকেট অঙ্গনের তারকারাও। ভারতের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেছেন, তিনি ‘ভারতকে নিয়ে যা বলা হয়েছে, তা দেখে খুবই দুঃখিত’। পরের ছুটিতে তিনি ভারতেই কোনো সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান।

কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার সিন্ধুদুর্গে নিজের ভ্রমণের কথা উল্লেখ করে লেখেন, ৫০তম জন্মদিনে তিনি ভারতের একটি সৈকতে গিয়েছিলেন, ‘এ উপকূলীয় শহরে আমরা যা চাই, সবই আছে, এমনকি এর চেয়েও বেশি। দারুণ সব স্থানের সঙ্গে অসাধারণ আতিথেয়তা আমাদের দারুণ সব স্মৃতি উপহার দিয়েছে।’

কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাও, ‘মালদ্বীপ কয়েকবার গেছি এবং সব সময়ই এর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছি। আমার বিশ্বাস এখন আমাদের আত্মসম্মানকে প্রাধান্য দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’

জেএ