আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ওপর ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের প্রভাব কতটা, সেটি সাম্প্রতিক সময়ে মুজিব-উর-রহমানের আচরণে টের পেয়েছিল আফগানিস্তান। ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকতে চাওয়ায় ক্রিকেট বোর্ড তার ওপর বেশ ক্ষুব্ধ হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী দুই বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না মুজিব। একইসঙ্গে আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজে তাকে স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়। তবে ভারত সফরের জন্য ঘোষিত আফগান দলে রয়েছেন তারকা এই অফ-স্পিনার।

এর মাধ্যমে গত বছরের জুলাইয়ের পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবেন মুজিব। এই বিভাগে তার সঙ্গী দুই রিস্ট স্পিনার কাইস আহমদ ও নুর আহমদ। ভারত সফরের জন্য আফগানদের অধিনায়ক করা হয়েছে ইব্রাহিম জাদরানকে। কিছুদিন আগে ব্যাক সার্জারি করানোয় নিয়মিত অধিনায়ক রশিদ খানকে নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, যদিও তাকে রাখা হয়েছে ভারত সিরিজের দলে। তার নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে আফগানিস্তান।

আগামী ১১ জানুয়ারি ভারতের মোহালিতে শুরু হবে আফগানদের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর ১৪ ও ১৭ জানুয়ারি যথাক্রমে ম্যাচ হবে ইন্দোর ও বেঙ্গালুরুতে। চলতি বছরের জুনে ফরম্যাটটিতে বিশ্বকাপ আসর বসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। তার আগে ভারত-আফগানদের সিরিজটি দুই দলের জন্য এই সংস্করণে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এছাড়া ভারতের বিপক্ষে এবার প্রথম কোনো দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছেন রশিদ-মুজিবরা।

এর আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ খেলায় মুজিব, ফজলহক ফারুকি ও নাভিন–উল–হককে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। তখন বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘আফগানিস্তানের হয়ে খেলার চেয়ে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন।’ ২০২৪ সালে এসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তিন ক্রিকেটার। এরপর এসিবি শাস্তি হিসেবে বিবৃতিতে জানায়, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে আগামী দুই বছর এই তিন ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি তাদের বর্তমান অনাপত্তিপত্রও বাতিল করা হয়।

ফলে বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে খেলার মাঝপথেই মুজিবকে দেওয়া অনাপত্তিপত্র বাতিল হয় এবং তিনি নিজ দেশে ফিরে যান। অন্যদিকে নাভিন ও ফারুকি এসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যা নিয়ে এসিবি জানায়, তারা আবারও দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জোরালো ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। দুই খেলোয়াড়কে এরপরই আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৮ সদস্যের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল : 

ইব্রাহিম জাদরান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইকরাম আলিখিল, হজরতউল্লাহ জাজাই, রহমত শাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, শরফউদ্দিন আশরাফ, মুজিব-উর-রহমান, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ আহমদ, নাভিন-উল-হক, নুর আহমদ, মোহাম্মদ সালিম, কাইস আহমদ, গুলবাদিন নাইব ও রশিদ খান।

এএইচএস