টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনও নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যে খানিকটা পিছিয়েই আছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূলপর্বে একটি জয় পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় দেড় দশক। যদিও ঘরের মাঠে গেল বছরটা এই ফরম্যাটে বেশ ভালোই পার করেছে টাইগাররা। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই বাংলাদেশকে দিতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরীক্ষা। 

কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপটা রীতিমত ভয় ছড়াতে পারে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে। ‘ডি’ গ্রুপে টাইগারদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।

আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডসও টি-টোয়েন্টিতে বেশ শক্তিশালী দল। এ ছাড়া একমাত্র 'ডি' গ্রুপেরই চারটি দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরের পারফরম্যান্স ও র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে এবার সরাসরি সুযোগ পেয়েছে। সবশেষ আসরের শীর্ষ আটের মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস। সুপার টুয়েলভে তারা হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা 'ডি' গ্রুপের একমাত্র দল হলো নেপাল। 

তবে এসব নিয়ে মোটেই ভীত নন বিসিবির কর্তারা। ঢাকা পোস্টকে বিসিবির সহকারী নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, 'না আসলে কঠিন গ্রুপ নিয়ে চিন্তিত নই আমরা। কারণ এটা তো আমাদের হাতে নেই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলা, আমরা সেদিকেই ফোকাস রাখছি।'

এদিকে, আবারও গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। গ্রুপ ‘এ’-তে তারা আছে আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে। ‘বি' গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। আর 'সি' গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।

প্রথম পর্বের প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি করে দল চলে যাবে সুপার এইটে। সেখানে আটটি দল খেলবে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রথম পর্বের গ্রুপিং থেকেই ওই দুই গ্রুপের সম্ভাব্য একটি ধারণা পাওয়া যায়। কারণ, আগে থেকেই তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। 'এ-১' ধরা হয়েছে ভারতকে, 'এ-২' ধরা হয়েছে পাকিস্তানকে। একইভাবে ইংল্যান্ড 'বি-১', অস্ট্রেলিয়া 'বি-২', নিউজিল্যান্ড 'সি-১', ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'সি-২', দক্ষিণ আফ্রিকা 'ডি-১' ও শ্রীলঙ্কা 'ডি-২' হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হওয়াতে নির্ধারিত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।

এসএইচ/জেএ