টি-২০ বিশ্বকাপে পাক-ভারত ম্যাচের দিনক্ষণ জানা গেল
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আবারও দেখা যাবে ক্রিকেটের এল ক্লাসিকো ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। টুর্নামেন্টটিতে প্রথম ধাপে একই গ্রুপে পড়েছে এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ।
ক্রিকেটের যে কোনো ইভেন্টে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ভারত-পাকিস্তান লড়াই। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে আইসিসির ইভেন্ট বা এশিয়া কাপ ছাড়া দুই দলের মুখোমুখি লড়াই দেখা যায় না। যে কারণে তাদের লড়াই দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে থাকে ক্রিকেট বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আবারও দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট বিশ্বকাপ শুরুর ৬ মাস আগেই সূচি জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। গ্রুপ ‘এ’-তে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আছে আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। আর ‘সি’ গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।
আগামী ৯ জুন বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণীয় ম্যাচে নিউইয়র্কে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। এদিকে, গ্রুপ পর্বে ভারত প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে। ৫ জুন নিউইয়র্কে হবে সেই ম্যাচ। তার চারদিন পর অর্থাৎ ৯ জুন নিউইয়র্কে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর ভারতের তৃতীয় ম্যাচ আয়োজক দেশ আমেরিকার বিরুদ্ধে। ১২ জুন সেই খেলা। তৃতীয় ম্যাচও নিউইয়র্কেই খেলবে ভারত। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কানাডার মুখোমুখি হবে টিম ইন্ডিয়া। ১৫ জুনের সেই ম্যাচ খেলতে ফ্লোরিডা যেতে হবে ভারতীয় দলকে।
আরও পড়ুন
এবারের আসরে দল সংখ্যা বাড়ছে। মূলত ফুটবলের মতো ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলতে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়িয়েছে আইসিসি। ২০ দল নিয়ে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল ১২ দল নিয়ে।
প্রথম পর্বের প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি করে দল চলে যাবে সুপার এইটে। সেখানে আটটি দল খেলবে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রথম পর্বের গ্রুপিং থেকেই ওই দুই গ্রুপের সম্ভাব্য একটি ধারণা পাওয়া যায়। কারণ, আগে থেকেই তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘এ-১’ ধরা হয়েছে ভারতকে, ‘এ-২’ ধরা হয়েছে পাকিস্তানকে। একইভাবে ইংল্যান্ড ‘বি-১’, অস্ট্রেলিয়া ‘বি-২’, নিউজিল্যান্ড ‘সি-১’, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘সি-২’, দক্ষিণ আফ্রিকা ‘ডি-১’ ও শ্রীলঙ্কা ‘ডি-২’ হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ হওয়াতে নির্ধারিত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।
এফআই