২০২৩ সাল স্বপ্নের মতো কেটেছে অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ—দুই ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় অজি বাহিনী। ট্রফি জয়ের পথে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও তিনি ছিলেন উজ্জ্বল। প্রত্যাশিতভাবেই আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার।

স্যার গ্যারি সোবার্স ট্রফির লড়াইয়ে কামিন্সের সঙ্গে আরও মনোনয়ন পেয়েছেন তারই সতীর্থ ট্রাভিস হেড, ভারতের বিরাট কোহলি ও  অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। এদিকে, নারীদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘র্যাচেল ফ্লিন্ট ট্রফি’র সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার, ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রান্ট ও অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি। আজ (শুক্রবার) এক বিজ্ঞপ্তিতে পুরুষ ও নারী বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত এই তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। 

বিদায়ী বছরটা প্যাট কামিন্সের জন্য সৌভাগ্যের ছিল নিঃসন্দেহে। বোলার এবং অধিনায়ক দুই ভূমিকাতেই দুহাত ভরে সাফল্য পেয়েছেন। ওয়ানডে ও টেস্ট দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ২৪ ম্যাচ খেলে উইকেট শিকার করেছেন ৫৯টি। ওয়ানডেতে ১৩ ম্যাচে ১৭ উইকেট আর টেস্টে ১১ ম্যাচে ৪২ উইকেট নেন তিনি। দুই সংস্করণ মিলিয়ে ব্যাট হাতে করেন ৪২২ রান। ২০২৩ সালে কোনো টি-টোয়েন্টি খেলেননি এই অস্ট্রেলিয়ান।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছাপিয়ে কামিন্স আলোচনায় ছিলেন নেতৃত্বগুণে।তার নেতৃত্বে গত বছরের জুনে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের মাটিতে বেন স্টোকদের ‘বাজবল’ উড়িয়ে মর্যাদার অ্যাশেজও ধরে রাখে কামিন্সরা। বছরের শেষ দিকে ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে তার নেতৃত্বে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। 

কামিন্সের সঙ্গে বর্ষসেরার মনোনয়ন পেয়েছেন তারই স্বদেশি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ট্রাভিস হেড। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও বিশ্বকাপ ফাইনাল দুটোতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। তিন ফরম্যাটে ৩১ ম্যাচ খেলে গত বছর এক হাজার ৬৯৮ রান করেন তিনি।

২০২৩ সাল ভারতের জন্য আক্ষেপের বছর হলেও ব্যাট হাতে রানের পসরা সাজিয়েছেন বিরাট কোহলি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কোহলি ৩৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ২ হাজার ৪৮ রান। এর মধ্যে ওয়ানডেতে ২৭ ম্যাচে ১ হাজার ৩৭৭ রান করেন তিনি। যার মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেই করেন  ৯৫.৬২ গড়ে তিন সেঞ্চুরিসহ ৭৬৫ রান। যা বিশ্বকাপের এক আসরের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের রেকর্ড। এই বিশ্বকাপেই কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হন তিনি। এছাড়া টেস্টে ৮ ম্যাচ খেলে দুই সেঞ্চুরিসহ করেন ৬৭১ রান।

কামিন্স-কোহলিদের সঙ্গে বর্ষসেরার দৌড়ে আছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে গত বছর ৬১৩ রান ও ৬৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

এফআই