২০২৪ সালের আইসিসি ইভেন্ট হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসেছে টি-টোয়েন্টি। যেখানে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে অংশ নিচ্ছে আফ্রিকান দেশ উগান্ডা। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা খেলছে কোনো মেজর আইসিসি ইভেন্ট। আর এই সাফল্যের বড় অংশ এসেছে আল্পেশ রামজানির কল্যাণে। 

বিশ্বের সব দলের বড় নামগুলোকে টপকে গত বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছিলেন রামজানি।  ৩০ ম্যাচে ৪.৭৭ ইকোনমি রেটে বোলিং করে ৫৫টি উইকেট। প্রতি ১১ বলেই উইকেটের দেখা পান বাঁহাতি এই স্পিনার। আর দিয়েছেন ৯ এর কম রান। আফ্রিকা মহাদেশের এই ক্রিকেটারকে সেরার মঞ্চে তাই রাখতেই হচ্ছে।   

২০২৩ সালে আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের জন্য উগান্ডার আল্পেশ রামজানি ছাড়াও মনোনয়ন পেয়েছেন ভারতের সূর্যকুমার যাদব, জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ও নিউজিল্যান্ডের মার্ক চ্যাপম্যান। নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথুস, ইংল্যান্ডের সোফি একলস্টোন ও শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু।

রাজমানি ছাড়াও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাদ পড়ে গেলেও রাজা ছিলেন অনবদ্য। ১১ ইনিংসে ৫১.৫০ গড় ও ১৫০.১৪ স্ট্রাইক রেটে ৫১৫ রান করেছেন। পাশাপাশি ১৪.৮৮ গড়ে ১৭ উইকেট নেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে।

ভারতের সূর্যকুমার যাদব অবধারিতভাবেই আছেন এই লিস্টে। ২০২২ সালের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের ২০২৩ সালেও ব্যাট হাতে ছিলে অসামান্য। ১৭ ইনিংসে ৪৮.৮৮ গড় ও ১৫৫.৯৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৭৩৩ রান। বছরের শেষ দিকে এসে ভারতকে নেতৃত্বও দেন। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন বছরে নিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শতক। 

নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান চ্যাপম্যানের জন্যও বছরটা শুভই বলা যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজে করেন ২৯০ রান। সেখানে খেলেন ৫৭ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস, যাতে সিরিজ ড্র করে নিউজিল্যান্ড। বছরে সব মিলিয়ে এ সংস্করণে ৫০.৫৪ গড়ে ৫৫৬ রান করতে তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৪৫.৫৪ স্ট্রাইক রেটে।

জেএ