কিছুদিন আগেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর শেষ হয়েছে। এরই মাঝে দামামা বাজছে ভিন্ন ফরম্যাটের বিশ্বকাপের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর বসবে চলতি বছরের জুনে। কারা জিতবে এবারের শিরোপা? বেশ আগেভাগেই এ বিষয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন। পাশাপাশি টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার কে হবেন, তা নিয়েও কথা বললেন তিনি। 

সম্প্রতি আইসিসির একটি ইন্টারভিউতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে নাসের বলেন, ‘আসলে আমি এটা নিয়ে বেশি কিছু ভাবিনি। তবে আমি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যেতে চাই। ইংল্যান্ড (বর্তমান) চ্যাম্পিয়ন, কিন্তু এই মুহূর্তে বিশেষ ভালো খেলছে না। বিশ্বকাপ হচ্ছে ক্যারিবিয়ানে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো করছে। এর মধ্যে আবার আপনার কাছে পাকিস্তানের মতো দলও আছে। তাহলে আমি কি এই সব দল বাছাই করতে পারি? তবে আমি ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডকে দেখতে পাচ্ছি।’

এর সঙ্গে নাসির হুসেইন আরও একটি ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন যে, টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব আসন্ন বিশ্বকাপে বিপর্যয় সৃষ্টি করবেন। ইংল্যান্ডের এই সাবেক অধিনায়ক মনে করেন সূর্যই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্টের খেতাব জিততে পারেন।

সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার নাসের হুসেইন।

নাসের বলছিলেন, ‘এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেতে যার ওপর বিশ্ব নজর রাখবে তিনি হলেন সূর্যকুমার যাদব। আমি বলতে চাই, তিনি হলেন দারুণ একজন ব্যাটার। তার নামের বিপরীতে মিস্টার ৩৬০ ট্যাগ আছে। তার ঝুলিতে এমন কিছু শট রয়েছে যা কিছুটা উদ্ভট। তবে সেগুলো দেখতে ভালো লাগে।পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে সে জানে না কখন, কীভাবে খেলতে হবে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব সময় কী করতে হবে তা সে ঠিকই জানে। টি টোয়েন্টি হলো একটি মজার খেলা এবং এই খেলায় সূর্যকুমার যাদবের খেলা দেখতে বেশ মজার লাগে।’

বিশ্বকাপ ছাড়াও দুই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে নতুন বছরে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন নাসের হুসেইন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম পছন্দ হচ্ছে একজন মেগাস্টার এবং এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর সে হচ্ছে বিরাট কোহলি। নিশ্চিতভাবে, সে ২০২৩ বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করেছে। তার রেকর্ডময় সব ইনিংসেই নজর ছিল সবার, কিন্তু আমরা মনোযোগ দিইনি সে কিভাবে ব্যাট করেছে।’

এরপরই নিজের দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে বাবর আজমের নাম উল্লেখ করেন নাসের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভালো করার জন্য বাবরের রান পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি উল্লেখ করে ইংলিশ ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘আমার দুই পছন্দকেই একে অপরের সঙ্গে তুলনা করতে দেখা যায়। তাদের একজন বাবর। আমি মনে করি আসন্ন বছর সে এবং পাকিস্তানের জন্য বড় কিছু করার বছর। সে ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দিয়েছে, যা কাঁধের বোঝা কমিয়ে দিয়েছে তার। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের জন্য তার অনেক রান করার সুযোগ এনে দিয়েছে। দলটিও সেটাই চায়। ক্যারিবীয় দ্বীপে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে। আগের আসরেও তারা ফাইনাল খেলেছিল। এবারও ভালো করতে চাইলে সাবেক এই অধিনায়কের রান পাওয়ার বিকল্প নেই।’

এফআই