বাংলাদেশের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ঝোড়ো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা তানভীর ইসলামকে শুরুতে আক্রমণে আনেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারেই তার দুই বলে উড়িয়ে মারেন ফিন অ্যালেন। প্রথমটি অল্পের জন্য ছক্কা না হলেও, পরেরটি সীমানাদড়ি পেরিয়ে গেছে। ফলে প্রথম ওভারে আসে ১২ রান। এমন উড়ন্ত শুরুর পর টাইগারদের হালে পানি এনে দিয়েছেন আরেক স্পিনার শেখ মেহেদী। তার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট টিম সেইফার্ট।

ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বেসামাল হয়ে ক্রিজের বাইরে বের হয়ে যান। সে সুযোগ নিয়ে তার উইকেট ভেঙে দেন রনি তালুকদার। পা ওপরে থাকা সেইফার্ট ১ রানেই স্টাম্পিং আউট। প্রথম ওভারে ৪ রানে মেহেদী নেন এক উইকেট। মাঝে এক ওভারে শরীফুল ইসলামের ওভারে দুটি চারের বাউন্ডারি পায় নিউজিল্যান্ড। ইনিংসে চতুর্থ ওভারে এসে আবারও সফল মেহেদী। তার ফুললেংথ ডেলিভারি তুলে মারার চেষ্টায় মিড অফে ধরা পড়েছেন ড্যারিল মিচেল। ২৬ রানেই কিউইরা ২ উইকেট হারিয়েছে।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ স্যান্টনার-সোধির ঘূর্ণিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার চার বল আগেই সফরকারীরা ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায়। উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ কেবল শান্ত’র ১৫ বলে ১৭ রান। এছাড়া তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে ১৬ এবং আফিফ হোসেন ১৩ বলে ১৪ রান করেন। এছাড়া বলার মতো রান পাননি কেউই।

কিউইদের হয়ে ১৬ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন স্যান্টনার। এছাড়া সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। কেবল সোধি উইকেট না পেলেও, নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তিনি।

এএইচএস