ওয়ানডে বিশ্বকাপ পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি ভারতের। যেখানে টুর্নামেন্টসেরা ব্যাটিং করেছিলেন বিরাট কোহলি। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে বছরের শেষটাও মলিন হলো ভারতের। অবশ্য এখনও সিরিজ হারেনি রোহিত শর্মার দলটি, দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে তারা প্রোটিয়াদের কাছে হেরেছে। তবে হারের ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। চলতি বছরে তিনি ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। বিশ্বের প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ সাতবার এই রেকর্ড করেছেন তিনি।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) সেঞ্চুরিয়নে টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ফল চলে আসে। কাগিসো রাবাদা ও নান্দ্রে বার্গারদের গতি, বাউন্স আর সুইংয়ে দিশেহারা ছিলেন সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। ফলে প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের দেওয়া ১৬৩ রানের লিডও পার হতে পারেননি রোহিত-কোহলিরা। ভারত ইনিংস ও ৩২ রানের ব্যবধানে হেরেছে। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের হয়ে একমাত্র লড়াই চালানো ব্যাটার কোহলি। ৮২ বলে তিনি ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে ৬৪ বলে ৩৮ রান করেছিলেন তিনি।

দলের বিধ্বস্ত হওয়ার দিনে খেলা ইনিংস মিলিয়ে ভারতীয় এই মাস্টার ব্যাটার এ বছর করেছেন ২০০৬ রান। এর আগে ২০১২, ২০১৪ সালের সঙ্গে ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা চারবছর দুই হাজার রান করার কীর্তি গড়েন ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটার। সর্বোচ্চ সাতবার এমন কীর্তি গড়ার মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারাকে। তিনি ছয়বার ক্যারিয়ারে এই কীর্তি গড়েছেন। এছাড়া পাঁচবার করে এমন মাইলফলকে পৌঁছে যৌথভাবে তিনে আছেন দুই কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার ও মাহেলা জয়াবর্ধনে।

আফ্রিকানদের কাছে ‍হারের ম্যাচে আরও কীর্তি হয়েছে কোহলির। ভারতীয় এই তারকা দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে সব সংস্করণ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৭৫০ রানের কীর্তিও গড়েছেন। ২৯ ম্যাচে ৫ সেঞ্চুরিতে এই রান করেন তিনি। ৬ ম্যাচ কম খেলে যেখানে তিনি পেছনে ফেলেছেন স্বদেশি কিংবদন্তি শচীনকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরির মালিক এতদিন প্রোটিয়া মাটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন। ৩৮ ম্যাচে ৬ সেঞ্চুরিতে ১৭২৮ রান করেছিলেন শচীন।

মাস দেড়েক আগে শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন কোহলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বাদ দিলে সব ম্যাচেই তার ব্যাট থেকে রান এসেছে। বিশ্বকাপের ম্যাচেই ওডিআই ফরম্যাটে তিনি শচীনের ৪৯টি শতরানের নজিরও ভেঙে দেন। পরে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়েছিলেন কোহলি-রোহিতসহ সিনিয়র ক্রিকেটাররা। এরপর ভারত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও সেখানে তারা ছিলেন না। কোহলি-রোহিতরা দলে ফিরেছেন এই টেস্ট সিরিজ দিয়ে।

এএইচএস