মার্শের ক্যাচ মিসের চড়া মাশুল গুনল পাকিস্তান
পাকিস্তানকে বাজে ফিল্ডিংয়ের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে অনেকবারই। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রায় ২৮ বছর টেস্ট জেতা হয়নি তাদের। এমন অবস্থানে থেকে মেলবোর্নে ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও স্বাগতিকদের অল্পতেই বেধে ফেলার দারুণ সুযোগ ছিল শান মাসুদের দলের। কিন্তু ঘুরেফিরে আক্ষেপ সেই ক্যাচ মিস। নিশ্চিত জীবন পাওয়া মিচেল মার্শের ৯৬ রানের ইনিংসের সুবাদে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে তাদের লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪১ রান।
অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রানে থামিয়ে দেওয়ার পর ব্যাটিংটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। মেলবোর্ন টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে সফরকারীরা। ৫৪ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া।
বিজ্ঞাপন
স্বাগতিকদের অল্পতেই গুটিয়ে ফেলার দারুণ সুযোগ ছিল পাকিস্তানের সামনে। স্লিপে মার্শের সহজ ক্যাচ ছেড়েই হাত দিয়ে মুখ লুকালেন আব্দুল্লাহ শফিক। ২০ রানে জীবন পাওয়া মার্শ শেষ পর্যন্ত আউট হন ৯৬ রানে। সেটাও স্লিপে সালমান আগার দুর্দান্ত এক ক্যাচে। চলমান টেস্টের শুরুটাই হয়েছিল পাকিস্তানের ক্যাচ ড্রপের মধ্য দিয়ে। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত ২ রানে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলে দেন এই আব্দুল্লাহ শফিক।
শফিক ক্যাচটা না ছাড়লে মেলবোর্ন টেস্টের গল্পটা অন্যরকম হলেও হতে পারতো। মার্শের ক্যাচ যখন ছেড়েছেন, স্বাগতিকদের লিড তখন ছিল ১০০ রান। তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৭ রান। এগিয়ে আছে ২৪১ রানে।
৫৪ রানে পিছিয়ে থেকে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে দারুণ শুরু পেয়েছিল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার উসমান খাজাকে শূন্য রানে ফিরিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। লাঞ্চ ব্রেকের আগমুহূর্তে মারনাস লাবুশেন শিকার হলেন আফ্রিদির। বিরতির পর আক্রমণে এসেই সফল হন মীর হামজা। পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন ওয়ার্নার। হামজার পরের বলেই বোল্ড ট্রাভিস হেড।
দ্রুত ৪ উইকেট পতনের পর স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে ১৫৩ রানের জুটি গড়েন মার্শ। স্লিপে সালমান আগার দুর্দান্ত ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ১৩ চারে ১৩০ বলে ৯৬ করেন মার্শ। পার্থ টেস্টের দুই ইনিংসে অর্ধশতক পাওয়া মার্শ আজও শতক পেলেন না। অন্যদিকে, মন্থর ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪০তম ফিফটি পেয়েছেন স্মিথ। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি স্মিথ। আফ্রিদির বলে দিনের একেবারে শেষ দিকে উইকেট দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি ও হামজা।
এর আগে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ২১৫ রানে হারায় সপ্তম উইকেট। ৪২ রান করে কামিন্সের বলে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। রিজওয়ান ফিরে গেলেও আমের জামাল, আফ্রিদিদের ছোট ছোট জুটিতে পাকিস্তান ২৬৪ রান তুলতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দশমবারের ৫ উইকেট নেন কামিন্স। লায়ন নেন ৪ উইকেট।
এফআই