হাথুরুকে নিয়ে মুখ খুললেন সৌম্য
আজকের আগেও সৌম্য সরকার কেন জাতীয় দলে— ক্রিকেট মহলে এমন প্রশ্ন অনেক বেশি উঠতে দেখা যেত। বিশেষত বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পছন্দের হওয়ার কারণেই তিনি বারবার সুযোগ পেয়ে আসছেন, এ বিষয়টা অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। হাথুরুর সামনেও এমন প্রসঙ্গ তোলা হলে সঠিক উত্তর দেননি তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ (বুধবার) রেকর্ডময় এক ইনিংস খেলার পর বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
প্রায় ৫ বছর পর সৌম্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শতকের পর নিজেকে প্রায় হারিয়ে খুঁজেছেন এই ওপেনিং ব্যাটার। সেই খরা আজ ঘুচলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের ২য় ম্যাচে ১৬৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য।
বিজ্ঞাপন
এমন ইনিংস খেলার পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়— পুরোনো সৌম্য কি আবার ফিরে এসেছে কি না। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় কোচ হাথুরুর বিষয়ে। জবাবে সংবাদ সম্মেলনে ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘সৌম্য সৌম্যই ছিলাম। হয়তো সে (হাথুরু) আমাকে ভালো বুঝে, এজন্য ছোট একটা জিনিস বলেছে, যা আমার জন্য ক্লিক করেছে। আমরা কীভাবে দেখি সেটা বড় বিষয়। একটা মানুষ হেঁটে গেলেও তার মধ্যে অনেক নেগেটিভিটি পাবেন। আপনি যদি কেবল নেগেটিভিটি দেখতে চান নেগেটিভিটিই দেখবেন। পজিটিভ চিন্তা করলে পজিটিভ জিনিস পাবেন। হয়তো উনি পজেটিভ জিনিসটাই চিন্তা করে।’
আরও পড়ুন
খারাপ খেললে সমালোচনা হবে এটাও মানেন সৌম্য, ‘আমি তো খেলোয়াড়, আমাকে খেলতেই হবে। ভালো খেললে হয়তো ভালোটা নিয়ে লিখবেন, খারাপ করলে খারাপ লিখবেন। এটা আপনাদের কাজ, আমার কাজ খেলা। এগুলো নিয়ে ভাবা হয়নি। ভাবলে হয়তো নিজের ওপর চাপ আসত। আমি কেবল নিজের খেলার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, আমার যে প্রক্রিয়া ছিল সেই প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা ছিল।’
তবে সমালোচনা নিয়ে খারাপ লাগাও আছে সৌম্যের, বিষয়টি তিনি সামলেছেন নিজস্ব কৌশলে, ‘একটা সময় হয়তোবা (সমালোচনার খবর) দেখতাম। কিন্তু সত্যি বলতে, প্রায় এক বছর আমার ফোনে এ ধরনের কোনো সংবাদ আসেনি। আমার ফেসবুক বন্ধু বা অন্যরা ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথা বললে আমি তার সঙ্গে থাকি না। যে ইতিবাচক কথা বলে, আমি তার সঙ্গেই থাকি এবং ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই ভাবি। ভালো-খারাপ দুটোই থাকবে। কিন্তু খারাপ করলে তো ক্রিকেট ছেড়ে চলে যেতে পারব না। ক্রিকেটের জন্যই এত দূর আসতে পেরেছি, ক্রিকেটের জন্যই এত পরিশ্রম করছি।’
এসএইচ/এএইচএস