শেষবার কবে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার এমন প্রশ্ন করা হলে, পিছিয়ে যেতে হবে অনেকটা দিন। সময়ের হিসেবে প্রায় ৫ বছর। ২০১৮ সালের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শতকের পর নিজেকে প্রায় হারিয়ে খুঁজেছেন এই ওপেনিং ব্যাটার। সেই খরা ঘুচলো আজ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের ২য় ম্যাচে ১৬৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। 

দুর্দান্ত এই ইনিংসের পথে সৌম্য পেছনে ফেলেছেন দুটি রেকর্ড। এদিন তিনি আউট হয়েছেন ১৬৯ রান করে। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। তামিম ইকবালের ১৫৪ এবং ১৫৮ রানের ইনিংস ছাপিয়ে কিউইদের বিপক্ষে সৌম্যের এই ইনিংস উঠে এসেছে সর্বোচ্চ রান তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। এছাড়া শচীনকে টপকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডও নিজের করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। 

 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য তাই ধন্যবাদ জানালেন দুঃসময়ে পাশে থাকা মানুষদের, ‘সবকিছুর আগে আমি ধন্যবাদ দিবো আমার পরিবারকে। আমার বউকে। সবকিছুতে সমর্থন করার জন্য। আমার সতীর্থরা তো আছেই। যতটুকু অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছি, ব্যাটিং করছি সেও (হাথুরুসিংহে) অনেক সমর্থন করেছে। যে ইতিবাচক কথা বলে আমি তার সঙ্গেই থাকি।’

লম্বা সময় পর ব্যাটে রান পেয়েছেন একসময়ের নির্ভরযোগ্য এই ক্রিকেটার। কথা বলেছেন তিক্ত সেই সময় নিয়েও, ‘ভালো-খারাপ ক্রিকেটে থাকবেই। কিন্তু খারাপ খেললে তো ক্রিকেট ছেড়ে চলে যেতে পারব না। যেহেতু ক্রিকেট প্লেয়ার। ক্রিকেটের জন্যই এতদূর আসা। পরিশ্রম করছি ক্রিকেটের জন্যই। সুতরাং ক্রিকেট নিয়েই বেশি চিন্তা।’

অবশ্য আজকের এমন দানবীয় ইনিংসের পর প্রতিদিন ভাল করার আশা রাখছেন না সৌম্য, 'ক্রিকেট প্লেয়ার প্রতিদিন ভালো খেলবে না। আপনি যেমন একটা মানুষ প্রতিদিন ভালো খাবার আশা করবেন না, আমরাও প্রতিদিন ভালো খেলব আশা করি না। আমরা ক্রিকেটাররা হাসার চাইতে বেশি কাঁদি। কেননা কেউ পুরো একটা সিরিজ খেললে ১-২ তা ম্যাচ ভালো খেলে। তার খারাপই যায়।'

'ওটা নিয়ে আমরা পড়ে থাকলে আমরা নিজেরাই পিছিয়ে যাব। সুতরাং যতটুকই ইতিবাচক সেটা নিয়ে চিন্তা করা হয় বেশি। কীভাবে সামনে আরও ভালো করা যায় সেখানেই ফোকাস থাকে। এর মধ্যে যতটুকু পারফেকশান আমরা করতে পারি, সেটা নিয়েই ম্যাচে যাওয়ার চিন্তা করি।'-যোগ করেন সৌম্য।

এসএইচ/জেএ