সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে টুর্নামেন্টসেরা শিবলী
ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশের যুবারা। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বয়সভিত্তিক এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে জুনিয়র টাইগাররা। মরুর দেশ আরব আমিরাত থেকে দেশকে এমন আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিলেন আশিকুর রহমান শিবলী, মারুফ মৃধারা। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ছিল ব্যাটে-বলে ছিল অপ্রতিরোধ্য। কখনো শিবলী, কখনো মারুফ আবার কখনো জীবন-রাব্বিরা হয়েছেন জয়ের কারিগর।
তবে এতকিছুর মাঝেও দুর্দান্ত ছিলেন শিবলী। ব্যাট হাতে পুরো আসরেই আলো ছড়িয়েছেন এই ব্যাটার। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৭ রানের সংক্ষিপ্ত ইনিংস বাদ দিলে এবারের এশিয়া কাপে দুর্দান্ত খেলেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। ৫ ম্যাচের মধ্যে ছিল দুই সেঞ্চুরি এবং দুই হাফ-সেঞ্চুরি।
বিজ্ঞাপন
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ৭১ রান করেছিলেন শিবলী। এরপর আরব আমিরাতের বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ৫৫ রান। ছিলেন অপরাজিত। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ১১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস বাংলাদেশকে দিয়েছিল জয়ের ভিত।
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে খুব বেশি কিছু করা হয়নি শিবলীর। তবে ফাইনালে ঘটালেন রাজসিক প্রত্যাবর্তন। ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস খেলেছেন বাংলার এই তরুণ। পুরো আসরে শিবলী করেছেন ৩৭৮ রান। গড় স্কোর ৭৫.৬। এমন তারকাকে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের খেতাব তুলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি।
চলতি বছরটাই অবশ্য বেশ দারুণ কাটছে যুব ক্রিকেটদলের উইকেটরক্ষকের জন্য। এবারের এশিয়া কাপে সেমিফাইনাল বাদ দিলে রান পেয়েছেন আর সব ম্যাচেই। গ্রুপপর্বে জাপানের বিপক্ষে ৫৫ রানের পর, আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলেছেন ৭১ রানের ইনিংস। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসে ১১৬ রানের দারুণ এক নক।
এর আগে নভেম্বরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬২ এবং ভারতের বিপক্ষে ১৩৫ রানের আরও দুটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন শিবলী। সবমিলিয়ে সময়টা যেন বাংলার এই তরুণ উইকেটরক্ষকের খুব ভাল যাচ্ছে, তা অনায়াসে বলা যায়। আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও শিবলীর কাছ থেকে নিশ্চয়ই এমন এক পারফরম্যান্স চাইবে বাংলাদেশ।
জেএ