হার্দিক পান্ডিয়া আসার পরেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সুখের সংসারে আগুন লেগেছে। এমন কথা বেশ আগে থেকেই চাউর হয়েছিল। ৩০ বছর বয়েসী এই অলরাউন্ডকে দলে আনতে গুজরাট টাইটান্সের সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধই করতে হয়েছিল মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজকে। তবে, সবকিছুর পরেও হার্দিক এসেছেন বলিউডের শহরে। তবে আসার পরেই যুক্ত হয়েছেন বিতর্কে। 

দলে আসার পরেই অভিজ্ঞ রোহিত শর্মাকে সরিয়ে অধিনায়কের পদ দেওয়া হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে। এই নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ দলের ভক্তরা। টুইটার, ইন্সটাগ্রামে প্রতিনিয়ত কমছে মুম্বাইয়ের ফলোয়ার সংখ্যা। শুক্রবার বিকালে রোহিতকে সরানোর সিদ্ধান্ত আসতেই কমতে শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুম্বাইয়ের ফলোয়ার বা অনুসরণকারীর সংখ্যা।

তবে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি, হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করা কোন আকস্মিক সিদ্ধান্ত নয়। বরং অধিনায়ক করা হবে এই শর্তেই নাকি গুজরাট টাইটান্স থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে এসেছিলেন হার্দিক। তাদের সেই খবর অনুযায়ী, পুরো পরিকল্পনাই বেশ অনেকদিন আগে থেকেই করা হয়েছিল। 

ভারতের এই প্রভাবশালী দৈনিক আরও জানায়, মুম্বাইয়ে আসার আগে দলটির সঙ্গে আলাপেই এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। আর হার্দিকের এমন শর্তের পর রোহিতের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে মুম্বাই। রোহিতকে নিজেদের পরিকল্পনা এবং অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে জানানো হয়। 

এরপর রোহিত নিজেই হার্দিকের অধীনে খেলতে রাজি হওয়ার আগেই ঘোষণা দিয়ে দেয় মুম্বাই। আর এর সবটাই হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগেই। রোহিত শর্মা অবশ্য একপর্যায়ে পুরো ব্যাপারটি মালিকপক্ষের হাতে ছেড়ে দেন। 

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল হার্দিকের। ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত মুম্বাইয়ে থাকলেও ২০২২ সালের মেগা নিলামের আগে হার্দিককে ছেড়ে দেয় মুম্বাই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরাসরি চুক্তিতে রশিদ খান, শুভমান গিলের সঙ্গে হার্দিককে দলে নিয়েছিল গুজরাট। সেখানে গিয়েই অধিনায়ক হন হার্দিক। জিতেছেন আইপিএল শিরোপাও। 

জেএ