ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। লিগটির সাফল্যের পর আরও একটি নতুন প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ২০২৪ সাল থেকে শুরু হতে পারে নতুন এই টুর্নামেন্ট। অবশ্য নতুন প্রতিযোগিতা শুরু করা নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিসিআই। বিষয়টি এখনো পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে। এমনটাই দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। 

আইপিএলের মতো ২০ ওভারের কোনো লিগ নয়, বিসিসিআইয়ের নজর এবার ক্রিকেটের আধুনিকতম সংস্করণ টি-টেনে। আইপিএলের পর ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের হাত ধরে টি-টেন ফরম্যাট এলে তা যে আরও জনপ্রিয়তা পাবে, তা বলাই বাহুল্য।

দেশটির গণমাধ্যমে দাবি, আগামী বছর থেকেই শুরু হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন টি-টেন প্রতিযোগিতা। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এই টুর্নামেন্টের রূপরেখা তৈরি করছেন বলে জানা গিয়েছে। আইপিএলের বিপুল অর্থনৈতিক সাফল্য তাকে নতুন প্রতিযোগিতা নিয়ে আগ্রহী করে তুলেছে বলে জানা গেছে।

বিসিসিআই অবশ্য চাইলেই নতুন টি-টেন প্রতিযোগিতা শুরু করতে পারবে না। এর জন্য আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সম্মতি প্রয়োজন। নিয়ম অনুযায়ী, বিসিসিআই আইপিএলের সমগোত্রীয় কোনো প্রতিযোগিতা শুরু করতে চাইলে, তাতে ফ্যাঞ্চাইজিগুলো আপত্তি বা প্রত্যাখ্যান করতে পারে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতেই রয়েছে এই নিয়ম। 

আগামী বছর থেকেই শুরু হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন টি-টেন প্রতিযোগিতা। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এই টুর্নামেন্টের রূপরেখা তৈরি করছেন বলে জানা গিয়েছে। আইপিএলের বিপুল অর্থনৈতিক সাফল্য তাকে নতুন প্রতিযোগিতা নিয়ে আগ্রহী করে তুলেছে বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ইতোমধ্যে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন জয় শাহ। মনে করা হচ্ছে, সম্মতি পেতে অসুবিধা হবে না। নতুন প্রতিযোগিতায় দল কেনার ক্ষেত্রে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকেই প্রথম সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

আরও একটি চিন্তা রয়েছে বোর্ড কর্তাদের। তা হচ্ছে, আইপিএলের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ রাখা। গত ১৫ বছরে আইপিএলের যে ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ তৈরি হয়েছে, তা নতুন প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে প্রথম থেকে হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ১০ ওভারের প্রতিযোগিতা শুরু হলে আইপিএলের আকর্ষণ এবং মূল্য কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা কাম্য নয়। তাই বোর্ড কর্তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অর্থনৈতিক দিকটিও খতিয়ে দেখতে চাইছেন।

নতুন প্রতিযোগিতা শুরুর ভাবনা নিয়ে জানা যাচ্ছে, এখন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করে বিশেষ লাভ হয় না। বরং অনেক সময় তহবিলের টাকা খরচ করে সিরিহ আয়োজন করতে হয়। তেমন আয় নেই প্রমিলা ক্রিকেট থেকেও। এভাবে চলতে থাকলে কমতে শুরু করবে বিসিসিআইয়ের আর্থিক সঙ্গতি। নতুন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের ফলে তৈরি হওয়া ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি আয় বৃদ্ধিই লক্ষ্য।

আগেই আইপিএলে বিনিয়োগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে সৌদি আরব। নতুন টি-টেন প্রতিযোগিতাতেও বিদেশি বিনিয়োগ আসতে পারে বলে মনে করছেন বোর্ড কর্তারা। যদিও কীভাবে এই প্রতিযোগিতা হবে, কারা খেলবেন, অতিরিক্ত ক্রিকেটের চাপ কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, বিদেশি ক্রিকেট বোর্ডগুলো দু’বার খেলোয়াড়দের ছাড়তে রাজি হবে কি না— এমন নানা প্রশ্ন রয়েছে। সে সব নিয়ে এখন ভাবছেন না জয় শাহ। আর্থিক লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে তবেই বাকি বিষয়গুলো নিয়ে এগোতে চান বোর্ড সচিব।

এফআই