আগামী বছরের (২০২৪) জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতিতে নেমেছে দলগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া শ্রীলঙ্কাও জানুয়ারি থেকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মিশন শুরু করছে। এ লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে দাসুন শানাকার দল। যদিও আফ্রিকান দেশটি আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেদের নাম লেখাতে পারেনি।

লঙ্কানদের মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। এমনকি ২০২২ সালের জানুয়ারির পর দু’দল কোনো ওয়ানডে সিরিজও খেলেনি। ফলে দীর্ঘ দুই বছর পর এবার ৫০ ওভারের সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামসরা উঠতে না পারলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে টিকিট কেটেছে নামিবিয়া ও উগান্ডা। যেখানে প্রথমবারের মতো নাম লেখানো উগান্ডা বড় চমক।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে লঙ্কানরা বেশ কয়েকটি সিরিজ চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রয়েছে তিনটি ২০ ওভারের ম্যাচ। পরবর্তীতে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে তারা বাংলাদেশে এসে আরেকটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। সর্বশেষ ভারত বিশ্বকাপের কারণে চলতি বছর জুড়ে ওয়ানডেতেই বেশি মনোযোগ ছিল লঙ্কানদের। ফলে ওই সময়ে তারা কেবল ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। এর মধ্যে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দুটিতে জয় এবং নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪টিতে হেরেছে লঙ্কানরা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে দুই ফরম্যাটের সিরিজ শুরু করবে লঙ্কাবাহিনী। তিনটি ওয়ানডে হবে যথাক্রমে ৬, ৮ ও ১১ জানুয়ারি। পরবর্তীতে ১৪, ১৬ ও ১৮ জানুয়ারি হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, সব ম্যাচই কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে।

এর আগে দুই দলের এই সিরিজের ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ছিল ডাম্বুলা ও ক্যান্ডিতে। কারণ সে সময় লঙ্কানদের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আসর বসার কথা ছিল। যা নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা লঙ্কা থেকে সরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানান্তর করেছে আইসিসি। এর আগে ২১ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সহসাই লঙ্কানরা সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছে না, তবে তারা সব ধরনের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এএইচএস