‘লজ্জার’ যে রেকর্ডে সবার ওপরে মুশফিক
ঘরের মাঠে চলতি বছরের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যদিও এই বছর আরও ৬টি ম্যাচ রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। তবে ঘরের মাঠে বছরের শেষটা হয়েছে হার দিয়ে। মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ (শনিবার) শেষ হওয়া টেস্টে বাংলাদেশই কেবল হারেনি, একইসঙ্গে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের কাঁধেও লজ্জার এক রেকর্ড ভর করেছে! আর তা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ড। কিউইদের বিপক্ষে এদিন ক্যারিয়ারের ২৫৭তম হার দেখলেন মুশফিক।
এর আগপর্যন্ত ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তিনি এই রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন। যদিও ভারতীয় তারকার ম্যাচ খেলার সংখ্যাটা মুশফিকের চেয়ে অনেক বেশি। সবমিলিয়ে ৬৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে শচীন হার দেখেছেন ২৫৬টিতে। বিপরীতে মুশফিক এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৪৫৫টি ম্যাচ।
বিজ্ঞাপন
মুশফিক ও শচিনের পর ক্রিকেটের সব সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। তিনি তিক্ত হারের স্বাদ পেয়েছেন ২৪৯ ম্যাচে। এজন্য জয়াবর্ধনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫২টি ম্যাচ খেলেছেন। ম্যাচ হারের দিক থেকে এরপর যথাক্রমে অবস্থান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (২৪১) ও আরেক লঙ্কান কিংবদন্তি সনাৎ জয়সুরিয়ার (২৪০)।
অবশ্য মুশফিক কেবল হারের রেকর্ডই গড়েননি, দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডেও আছে তার নাম। ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৬টি ম্যাচ জিতেছেন। মুশফিকের চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন কেবল বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার দেশের ৪৩০ ম্যাচের ১৭৭টিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন
মুশফিকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৮ বছরের। ২০০৫ সালের মে মাসে অভিষেকের পর ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত— ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ বছরে মোট ১০৩ ম্যাচ খেলে ৬৮টিতেই হারতে হয় মুশফিককে। দলের এমন পরাজয়ই তার কপালে লজ্জার রেকর্ড নিয়ে এসেছে। তখন পরাজয়ের হার ছিল শতকরা ৬৬.০২ ভাগ। এরপর থেকে এই পর্যন্ত খেলা ৩৫২ ম্যাচে ১৮৯টিতে হেরেছেন মুশফিক। সেখানে পরাজয়ের হার শতকরা ৫৩.৬৯ ভাগ।
ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য এই ‘মিস্টার ডিফেন্ডেবল’ অনেকগুলো কীর্তি গড়েছেন। যার মধ্যে একটি বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তার রান ১৪৭৮৪। তার সামনে আছেন কেবল সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল (১৫১৯২ রান)।
এএইচএস