মুশফিকের বিরল আউট নিয়ে যা বললেন তামিম
দারুণ এক ছয়ের মারে সতীর্থ ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে ধারাভাষ্যকক্ষে একপ্রকার স্বাগত জানিয়েছিলেন মুশফিক। তবে কমেন্ট্রিতে থাকাকালেই অবিশ্বাস্য এক দৃশ্যের সাক্ষী হলেন তামিম। সেটিও আবার মঞ্চস্থ করলেন মুশফিক। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১ তম ওভারে কাইল জেমিসনের করা চতুর্থ বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লাগার পর পপিং ক্রিজে ড্রপ করে আরও ডান দিকে সরে যাচ্ছিল। তখন ডান হাত দিয়ে বলটি আরও ঠেলে দেন মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা আউটের আবেদন করেন। ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন তৃতীয় আম্পায়ার।
বিজ্ঞাপন
ধারাভাষ্যে থাকা তামিম এ সময় হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘খুবই হতাশার...বল তো উইকেটে হিট করছিল না। এটা করার কোনো দরকারই ছিল না। একেবারেই দুর্ভাগ্য। দল এটা ভাবতেই পারেনি, মুশফিক যা করল।’
‘আপনি এটা করতেই পারেন না। বিশেষ করে মুশফিকের মতো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে। এটা তার চেয়ে ভালো আর কে জানবে যে এতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে।’
আরও পড়ুন
ক্রিকেটের আইনে ৩৭.১.১ ধারায় এই আউট সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ব্যাটার যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই সেই হাত দিয়ে বল ধরেন, তবে এই আউট হবেন। কিন্তু যদি চোটের হাত থেকে বাঁচতে বল ধরেন তবে তিনি আউট হবেন না।’ এই আইনটি এক সময় ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল আউট’ বাদ দিয়ে এই আউটকে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের অর্ন্তভুক্ত করা হয়।
পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হলেন মুশফিক। টেস্টে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। ১৯৫১ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম এভাবে আউট হয়েছিলেন ইংলিশ ওপেনার লেন হাটন।
এসএইচ/এফআই