বুমরাহর ‘কোচ’ যখন স্বর্ণজয়ী অ্যাথলেট
বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট পেয়েই মোহাম্মদ শামি বল হাতে মাথায় ঘোরালেন। এমন বিচিত্র উদযাপনের কারণ বুঝতে অসুবিধা হলো না। অন্তত ভারতের ক্রিকেটের যারা ভক্ত তারা জানেন, এমন উদযাপনের কারণ পরশ মামব্রে। টেকো মাথার এই বোলিং কোচ পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন ভারতের বোলিং লাইনআপকে। তার দুর্দান্ত রণকৌশলে একেবারেই অনন্য হয়ে উঠেছেন মোহাম্মদ শামি-জাসপ্রিত বুমরাহরা।
জাসপ্রিত বুমরাহ ভারতের বোলিং লাইনের বিশ্বস্ত সেনানী অনেকটা দিন ধরেই। কম রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার কাজটা বেশ ভালোভাবেই পারেন তিনি। নতুন বলে দারুণ শুরু এনে দেওয়ার দায়িত্বটাও তার। তবে বল পুরাতন হলে বুমরাহ যেন হয়ে ওঠেন আরও বেশি ভয়ানক।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বকাপের ফাইনালে অবশ্য সেই খুনে মেজাজের বুমরাহকে পায়নি ভারত। ব্যর্থ হয়েছে দলগতভাবেও। ফাইনাল হারের সেই ক্ষত শুকিয়ে এবার নতুন মিশনে চোখ টিম ইন্ডিয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকায় পূর্ণাঙ্গ সফরে যাচ্ছে তারা। সেই সফরের ঠিক আগে বুমরাহর কোচ হয়ে এলেন নতুন একজন। নাম তার নীরাজ চোপড়া। খেলার খোঁজ খুব নিয়মিত রাখলে চেনার কথা তাকে।
টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রো গেমসে ভারতকে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছিলেন নীরাজ। সেই নীরাজই এবার এলেন বুমরাহর নতুন ‘কোচ’ হয়ে। ভারতীয় বোলারের বলে গতি কমে আসা নিয়ে কাজ করতে চান নীরাজ। বিশ্বকাপে ভারতের প্রায় সব ম্যাচই দেখেছেন নীরজ। পর্যবেক্ষণ করেছেন বুমরাহকে।
আরও পড়ুন
চোট সারিয়ে ফিরে আসার পর বুমরাহ রান আপ কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন। এখানেই আপত্তি নীরাজের। তার মতে, রান আপ কমিয়ে ফেলার প্রভাব পড়ছে বুমরাহর বলের গতিতে।
বিশ্বজয়ী অ্যথলেটের ভাষ্য, ‘বুমরাহকে আমার বেশ ভাল লাগে। ওর বোলিং অ্যাকশন বেশ মজার। আমার মতে, ওর বোলিং রান আপ আর একটু বড় করা উচিত। তাতে বলের গতি বৃদ্ধি করতে সুবিধা হবে। এক জন জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসাবে বলতে পারি, এক জন বোলার কীভাবে তার বলে আরও গতি বাড়াতে পারে। কী ভাবে বল ছাড়লে আরও ভাল ফল পেতে পারে। বুমরাহর সবই ভাল। শুধু বল করার জন্য আর একটু পিছন থেকে দৌড় শুরু করলে ভাল হতে পারে।’’
অন্য সবার মত নীরাজও হতাশ বিশ্বকাপ ফাইনালে রোহিত শর্মাদের হার দেখে, ‘দেখে মনে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা মানসিক ভাবে কিছু ভাল জায়গায় ছিল। মানসিক ভাবে কিছুটা এগিয়ে থেকে মাঠে নেমেছিল। ওদের বল করা দেখেই বুঝেছিলাম, মানসিক ভাবে কতটা শক্তিশালী। শেষ পর্যন্ত আমার ধারণাই ঠিক হয়েছিল। ওরা আসলে জানে, নিজেদের খেলাটা কখন, কী ভাবে খেলতে হয়।’
জেএ