ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছিলেন, অন্তত সেমিফাইনাল খেলবে ম্যান ইন গ্রিনরা। কিন্তু বাজে পারফরম্যান্সের কারণে রাউন্ড রবিন লিগেই বিদায় নিশ্চিত হয় বাবর-রিজওয়ানদের।

৯ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করে পাকিস্তান। ব্যর্থতার বিশ্বকাপ শেষে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর আজম। এরপর দলে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন এবং টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থারকে সরিয়ে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সরিয়ে দেওয়ার আগেই বোলিং কোচের পদ ছাড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে মরকেল।

এদিকে, বিদেশী কোচরা পাকিস্তানকে বোকা বানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। সর্বশেষ  বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের সমালোচনা করতে গিয়ে আকরাম বলেন, পাকিস্তানের ব্যর্থতার জন্য বিদেশী কোচরাই দায়ী। তারা পাকিস্তানে এসে লাড্ডু খাইয়ে আমাদের বোকা বানাচ্ছে।

বিশ্বকাপে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রায় পুরোটাই বিদেশী কোচ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। ভবিষ্যতে কোচিং স্টাফ প্যানেলে আর বিদেশি কোচ দেখতে চান না আকরাম। ভারতের সংবাদমাধ্যম স্পোর্টসকিডাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আকরাম বলেন, ‘আমাদের বিদেশি কোচরা সব সময় এখানে (পাকিস্তানে) থাকেন না। শুধু সিরিজের সময়ে আসেন তারা। এনসিএতে যাওয়া বা তরুণ খেলোয়াড় বা অন্যান্য কোচদের শেখানোর চেষ্টাই করেন না তারা। ব্যবস্থাপনা বা মানসিকতার দিকগুলো নিয়ে কাজ করেন না।’

বিদেশী কোচদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে আকরাম আরও বলেন, ‘এতদিন আমাদের সবাইকে লাড্ডু খাইয়ে গেছেন তারা।’ পাকিস্তান দল সাফল্য না পেলে ক্রিকেটারদের দিকে আঙুলে তোলা হয় বলে অভিযোগ করেন আকরাম। তিনি বলেন, ‘দল খারাপ খেললে, তখন সব দোষ ক্রিকেটারদের ওপর দেওয়া হয়। তাদের বলির পাঁঠা করা হয়। যা মোটেও ঠিক নয়। দেশীয় কোচদের দায়িত্ব দিতে হবে। তারা দায়িত্ব নিলেই পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালো হবে।’

এফআই