কন্ডিশন যাই হোক, অন্তত সাদা পোশাকে শক্তিমত্তার বিচাররে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তাই সিলেট টেস্টেও ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল কিউইরা। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পায়নি সফরকারীরা। এই জয়ে বড় অবদান বাংলাদেশি বোলারদের। তাইতো ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের কাছ থেকেও প্রশংসা পেয়েছেন তাইজুল-মিরাজরা।

সিলেটের উইকেটে আহামরি কোনো টার্ন ছিল না, উপমহাদেশের কন্ডিশন বিবেচনায় লাল বলের জন্য আদর্শ উইকেটই বলা যায়। এমন উইকেটেও কিউই ব্যাটারদের রীতিমতো ঘূর্ণি ধাঁধায় ফেলেছেন বাংলাদেশি স্পিনাররা।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হারের ব্যাখ্যা নিয়ে সাউদি বলেন, ‘আমরা নিজেদের হারের কারণ অবশ্যই আলোচনা করব। তবে আপনাকে আগে দেখতে হবে বাংলাদেশের বোলাররা কীভাবে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, লম্বা সময় ধরে। আমরাও তা করেছি কিছু কিছু সময়। তবে সেটা লম্বা সময় ধরে করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলি, আপনি জুটি গড়তে চাইবেন। শান্তর ইনিংস দেখুন, সে দারুণ খেলেছে। ইনিংসটা এসেছেও দারুণ সময়ে। সুতরাং আমাদের দেখার আছে অনেক কিছু। আগামী কয়েক দিন সে জন্য সময় আছে।’

বাংলাদেশি বোলারদের প্রশংসা করে সাউদি বলেন, ‘ওরা খুব ভালো বোলিং করেছেন, দারুণ নিয়ন্ত্রণ তাদের। আমরা জানি যে এই অঞ্চলে যত সময় গড়ায় ব্যাটিং তত কঠিন হয়। ওদের কিছুটা বাঁক দরকার ছিল, কিছু বাউন্সের অধারাবাহিকতাও। আমরা এটা জানতাম। এসব ক্ষেত্রে জুটি গড়তে হয়। আমাদের হয়তো দুই-একটি জুটি দরকার ছিল। আর নিজেরা লম্বা সময় চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি।’

বাংলাদেশের প্রশংসা করে সাউদি বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ তাদের মাটিতে সব সময় কঠিন দল। এই কন্ডিশনে খেলে ওরা অভ্যস্ত। আর নিউজিল্যান্ডে আমরা লম্বা সময় ধরেই ভালো করছিল। কন্ডিশন যেমনই হোক, কোনো হারই আদর্শ নয়। তবে এই জয় বাংলাদেশের উন্নতির একটা লক্ষণ।’

এসএইচ/এইচজেএস