মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের পর চতুর্থ বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে সাদা পোশাকের নেতৃত্বে রেকর্ড গড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্টে তার নেতৃত্বের অভিষেকে নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে হারাল বাংলাদেশ। আজ (শনিবার) সিলেটে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। এমন জয়ের দিনে শান্ত’র আনন্দটা অন্যরকমই বটে।

এমন কীর্তি মজার এক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। একই বছরের টেস্টে নেতৃত্বের অভিষেকে জয় পেয়েছিলেন মাশরাফি ও সাকিব। আবার ২০২৩ সালে লিটন-শান্ত দুজনেরই অভিষেক অধিনায়কত্বে টেস্টে সুখকর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ২০০৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে মুর্তজার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারিয়েছিল। সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ ওই বছরেই ক্যারিবীয়দের হারিয়েছিল ৪ উইকেটে। লিটনের নেতৃত্বে আধুনিক টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি দেখেছিল টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা ৫৪৬ রানে জিতেছিল। সর্বশেষ শান্তর নেতৃত্বে জয় এলো ১৫০ রানের ব্যবধানে।

গেল বছর জানুয়ারিতেও মাউন্ট মঙ্গানুইয়েও স্মরণীয় টেস্টজয়ী দলের সদস্য ছিলেন শান্ত। এবার ঘরের মাঠে অধিনায়কত্বে জিতলেন আরেকটি ম্যাচ। দুটির মধ্যে কোন জয়টিকে এগিয়ে রাখবেন শান্ত, জানালেন উত্তরে, ‘দুইটাই। টেস্ট যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো সময় জিততেই ভালো লাগে।’

ম্যাচ শেষে টাইগারদের এই তারকা ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ভালো লাগছে। খুবই খুশি। যে রকম চিন্তা করে এসেছিলাম, যে রকম পরিকল্পনা করেছি, সব মিলিয়ে যদি চিন্তা করি, তাহলে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে এ রকম জয়—খুবই আনন্দিত।’

কিউইরা হারলেও শান্ত তাদের শক্তিমত্তার কথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন পুনরায়, ‘তারা অবশ্যই ভালো দল। টেস্ট ম্যাচের গুরুত্বটা অনেক বেশি আমার কাছে। আমার মনে হয়, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দলের বিপক্ষে জিততেই ভালো লাগে। স্বাভাবিকভাবেই তারা এমন এক দল, দুই বছর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রের চ্যাম্পিয়ন ছিল।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমন জয় টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যরকম বার্তা দেবে বলে বিশ্বাস শান্তর, ‘এমন দলকে হারালে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা বাড়ে। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, তার চেয়ে ভালো অবস্থায় যেতে পারি, এই বিশ্বাস কিন্তু আরও ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এ ধরনের ম্যাচগুলো যদি আমরা না ভুলি, কী কী ঠিক করেছিলাম—এসব নিয়ে যদি ভবিষ্যতে এগোতে পারি, তাহলে টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এগিয়ে যাব।’

এসএইচ/এএইচএস