প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ভারতের আধিপত্যের পর তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে রোমাঞ্চও বেড়ে গেছে চলমান সিরিজের। তবে আজ (শুক্রবার) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নামার আগে নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে মাঠের বাইরের একটি বিষয়। আগে থেকেই এই ম্যাচটির ভেন্যু রায়পুরের শহীদ বীর নারায়ণ সিংহ স্টেডিয়াম নির্ধারিত। কিন্তু ওই স্টেডিয়ামের দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া রয়ে গেছে ৩ কোটি ১৬ লাখ রুপি। ফলে সেখানকার বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়ায় ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি ঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, অবহেলার শিকার ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টি-টোয়েন্টির ভেন্যু রায়পুর নারায়ণ স্টেডিয়াম। ছত্তিশগড় রাজ্যের স্পোর্টস বিভাগ যেখানে ম্যাচ আয়োজনের সকল দায়িত্ব অন্য বিভাগকে দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে ৩ কোটি ১৬ লাখ রুপি বিলের বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যার জন্য ছত্তিশগড় ক্রীড়া বিভাগ দায় দিচ্ছে পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টকে (পিডব্লুডি)। যার অর্থ দাঁড়ায় রাজ্যের ক্রীড়া বিভাগ তাদের ভেন্যুটিতে আইসিসির কোনো ম্যাচ আয়োজনের সক্ষমতার বিষয়টি গোপন করেছিল।

আজ রাত ৮টায় ম্যাথু ওয়েডদের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামবে সূর্যকুমার যাদবের ভারত। এই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে ভারতের সিরিজ নিশ্চিতের যেমন সুযোগ রয়েছে, তেমনি অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ সিরিজে সমতা ফেরানোর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি এই মাঠে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল ভারত। যার ধারাবাহিকতায় অজিদের সঙ্গেও আজকের ম্যাচটি রাখা হয়। অথচ এর আগে ২০১১-১২ মৌসুমে ওই মাঠটি প্রস্তুতি করা হয়েছিল, তবুও দীর্ঘদিনেও সেখান কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা হয়নি।

আরেক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, ১৪ বছর ধরে স্টেডিয়ামটির বিদ্যুৎ বিল দেয়নি ছত্তিশগড় ক্রিকেট সংস্থা। সে কারণে পাঁচ বছর আগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। শুক্রবারের ম্যাচের জন্য ক্রিকেট সংস্থার অনুরোধে সাময়িক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তাতে আলো জ্বলবে শুধু গ্যালারি এবং বক্সে। মাঠের ফ্লাডলাইট জ্বালানো হবে জেনারেটর দিয়ে। যদিও রায়পুর রুরাল সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অশোক খন্ডেলওয়াল বলেন, ‘ছত্তিশগড় ক্রিকেট সংস্থা যে সাময়িক বিদ্যুতের আয়োজন করেছে তার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে।’

ছত্তিশগড় ক্রিকেট সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা তারুণেশ সিংহ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করার সময় চিন্তা তো থাকেই। কোনো সমস্যা যে হবে না, তা জোর দিয়ে বলতে পারছি না। তবে আমাদের জেনারেটর রয়েছে। কোনো সমস্যা হলে ব্যবহার করা হবে। স্টেডিয়ামের কত টাকার বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে সেটা আমি জানি না, তবে সাময়িক বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছত্তিশগড় ক্রিকেট সংস্থা করেছে।’

২০১৮ সালে রায়পুরের এই স্টেডিয়ামে একটি হাফ ম্যারাথন আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় খেলোয়াড়রা বুঝতে পারেন যে, ওই স্টেডিয়ামে কোনো বিদ্যুৎ নেই। তখনই জানা গিয়েছিল যে, ২০০৯ থেকে বিদ্যুতের বিল জমা দেয়নি ছত্তিশগড় ক্রিকেট সংস্থা। জানা গেছে, রায়পুর স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার পর সেটার দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিডব্লিউডিকে।

এএইচএস