নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যার ওপর ভর করে বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২১২ রান সংগ্রহ করেছে। এখন তাদের লক্ষ্য চতুর্থ দলীয় লিড যতটা বাড়ানো যায়। তবে মাঠে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনায় এখন আলোচনার কেন্দ্রে। বলে একাধিকবার লালা ব্যবহার করেছেন বিতর্ক তৈরি করেছেন কিউই অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিজ্ঞ টাইগার ব্যাটার মুমিনুল হক।

দিনশেষে দলের হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুমিনুল। সেখানে তার কাছে গ্লেন ফিলিপসের বলে লালা লাগানো ইস্যু নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। বিষয়টি অনেক বড় ইস্যু বলেই মন্তব্য করেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক।

যদিও আজকের দ্বিতীয় সেশনে মাঠে ঘটে যাওয়া ফিলিপসের সেই লালা ব্যবহার নিয়ে মুমিনুল প্রথমে বলেন, ‘আমি দেখিনি।’ এমন সময় পাশ থেকে ম্যানেজার নাফিস ইকবাল নিশ্চিত করেন যে— তারা বিষয়টি দেখেছেন। এমনকি চতুর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলের কাছে অভিযোগও জানানোর কথা বলেন তিনি। পরক্ষণেই মুমিনুল উত্তর দেন, ‘এটা বড় কোনো ইস্যু না।’

পরে সংবাদ সম্মেলনে থাকা কয়েকজন সাংবাদিক জানালেন, এটা প্রমাণিত হলে এবং আম্পায়ার চাইলে ৫ রান জরিমানা করতে পারেন। তাতে বাংলাদেশ বাড়তি ৫ রান পাবে। এমন কথা শোনার পর মুমিনুল বললেন, ‘তাহলে এটা বড় ইস্যু।’

মূলত লালা ব্যবহার করে জরিমানা গোনার উদাহরণ আছে নেপালের ক্রিকেটে। ২০২২ সালের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলার সময় বলে লালা ব্যবহার করেছিলেন নেপালের ক্রিকেটার আলিশান শারাফু। যার ফলে নেপালকে ৫ রান জরিমানা করেছিলেন আম্পায়াররা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। ওভারটির তৃতীয় ডেলিভারির আগে বলে লালা মাখাতে দেখা যায় ফিলিপসকে। একবার নয়, দুইবার একই কাজ করেন তিনি। যদিও অন-ফিল্ড দুই আম্পায়ার আহসান রাজা ও পল রাইফেলকে এ নিয়ে ফিল্ডিং দলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ক্রিকেটের আইনবিধির ৪৩.১ ধারায় লেখা আছে, ক্রিকেট বলে লালা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হয়েছে। আম্পায়ার চাইলে শাস্তি হিসেবে ফিল্ডিং দলকে ৫ রান জরিমানা করতে পারে। এ ছাড়া আম্পায়ার বল পাল্টে ফেলতে পারে। অবশ্য আজ দুটির কোনোটিই কার্যকর হয়নি।

এসএইচ/এএইচএস