পাকিস্তানে নির্বাসনের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে বেশ অনেকটা দিন আগেই। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা ইংল্যান্ডের মত দলও সেখানে সফর করেছে। বহুজাতিক টুর্নামেন্ট হিসেবে এশিয়া কাপের আয়োজকও ছিল তারা। তবে এতকিছুর মাঝেও ভারত সেখানে খেলতে যেতে রাজি নয়। এবারের এশিয়া কাপেও ভারতের আপত্তির মুখেও হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হয়েছিল টুর্নামেন্ট।

২০২৫ সালে আরও একবার বহুজাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে পাকিস্তান। আরও স্পষ্ট করলে আইসিসির ইভেন্ট হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে বাবর আজমদের দেশে। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আশঙ্কা সেই টুর্নামেন্টের আগে আরও একবার বেঁকে বসতে পারে ভারত। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নাও থাকতে পারে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। 

এদফায় তাই আগে থেকেই সতর্ক পাকিস্তান। ভারত যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে না চায়, তবে আট জাতির এই টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে পাকিস্তানকে। এসব বিবেচনায় এবার আগে থেকে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি-র দ্বারস্থ হয়েছে তারা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আবেদন করেছে, চুক্তিতে এমন শর্ত থাকুক, যাতে পাকিস্তানে না খেলতে গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ভারতকে। 

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সূত্রে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব দিলেও এখনও সেই চুক্তি সই করেনি তারা। কিন্তু, বিশ্বকাপ শেষের পর দ্রুতই চুক্তি সই করিয়ে নিতে চাইছে দেশটি। সেই উদ্দেশে আইসিসির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ ও সিওও সালমান নাসির।

পাক ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, ‘এশিয়া কাপের মতো পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতেও আপত্তি করতে পারে ভারত। যদি তেমন কোনও পরিস্থিতি হয় তা হলে ভারতকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই মর্মে চুক্তি করতে চাইছে পাক বোর্ড।’

এর আগে ভারতের আপত্তিতেই এশিয়া কাপ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যৌথ ভাবে হয়েছিল। ভারত সব ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় খেলেছিল। সেই সময়ও নিরাপত্তার অজুহাত দাঁড় করিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এ বার যাতে সেই রকম কোনও সমস্যা না হয় তাই আগে থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে পাকিস্তান।

জেএ