আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম। বেশ অনেকটা সময় ধরেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন এক সময়ের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান বোলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে নিজের অবসরের কথা জানান ইমাদ। 

পাকিস্তানের জার্সিতে সবমিলিয়ে ১২১টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। বয়সভিত্তিক দলে ছিলেন অধিনায়কও। সবশেষ ম্যান ইন গ্রিনদের হয়ে তাকে দেখা গিয়েছে এপ্রিলে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে ছিলেন তিনি। তবে শেষ ওয়ানডে খেলেছেন আরও বেশ কয়েক বছর আগে। 

এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে ইমাদ বলেছেন, ‘গত কয়েক দিনে আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক ভেবেছি। এরপর এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার এটিই সঠিক সময়। অনেক বছর ধরেই সহায়তা করার জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদ দিতে চাই। পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা সত্যিই সম্মানের।’

এরপরই নতুন দিনের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন ইমাদ, ‘ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে আমার ১২১টি ম্যাচের প্রতিটিই ছিল স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। নতুন কোচ ও নেতৃত্ব আসছে, ফলে পাকিস্তান ক্রিকেটের সামনে রোমাঞ্চকর দিন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাফল্যের জন্য শুভকামনা। দলের উন্নতি দেখতে মুখিয়ে আছি আমি।’

নিজের পোস্টের শেষদিকে পাকিস্তানের ভক্তদের আর নিজের পরিবারকেও ধন্যবাদ দিতে ভুল করেননি ইমাদ। জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বাইরের ক্রিকেটে এখন মনোযোগ দিতে চান তিনি। বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে তার প্রতি যে প্রত্যাশা, সেদিকেই হয়ত ইঙ্গিত করেছেন এই ক্রিকেটার। 

২০১৫ সালে লাহোরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ইমাদ ওয়াসিমের। ওই বছরই কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেন অভিষেক ঘটে ওয়ানডে ফরম্যাটে। দ্রুতই নিজেকে করে ফেলেন সাদা বলের ক্রিকেটের অপরিহার্য এক নাম। বাঁহাতি স্পিনের পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিংয়েও বেশ কার্যকর ছিলেন ইমাদ। 

৬৬টি টি-টোয়েন্টিতে ৬৫টি উইকেট নেওয়ার সঙ্গে করেছেন ৪৮৬ রান। ছিলেন শর্টার ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান বোলার। এছাড়া ৫৫ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে তার উইকেট ৪৪টি, পাশাপাশি ৪২.৮৬ গড়ে ৯৮৬ রানও আছে তাঁর। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাটাও।

২০১৬ ও ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিলেন ইমাদ। অনেকের মতেই বাবর আজম দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরেই নিজের জায়গা হারিয়ে ফেলেছিলেন এক সময়ের দুর্দান্ত এই অলরাউন্ডার। নিজের পছন্দের ক্রিকেটারদের জায়গা দিতে গিয়ে ইমাদের স্থান নষ্ট করেছেন বাবর, এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় পাকিস্তান ক্রিকেটের ভক্তদের মাঝে। 

জেএ