এক যুগ পর আবারও বিশ্বকাপ শিরোপার দ্বারপ্রান্তে ছিল ভারত। টানা দশ জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ের একটা আশা তৈরি করেছিলেন রোহিত-কোহলিরা। কিন্তু ফাইনালের লড়াইয়ে ভারতের আশাভঙ্গ করে রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপার উৎসব করেছে অস্ট্রেলিয়া। 

গেল ১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। রোহিতদের শিরোপা উৎসব দেখতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় লাখো সমর্থক। নীল সমুদ্রে যেন ভাসছিল আহমেদাবাদ। ফাইনালের টিকিট নিয়ে হাহাকার চলছিল আগে থেকেই। যারা টিকিট পাননি কিংবা স্টেডিয়ামে যেতে পারেননি তাদের চোখ আটকেছিল টিভি পর্দায়। শেষ পর্যন্ত মাঠের লড়াইয়ে সমর্থকরা হতাশ হলেও এরই মধ্যে হয়ে গেছে এক রেকর্ড। 

বিশ্বকাপের ফাইনাল টিভিতে দেখেছেন ৩০ কোটি ভারতীয় সমর্থক। যা দেশটিতে টিভিতে সম্প্রচারিত হওয়া কোনো অনুষ্ঠানে সর্বাধিক দর্শকের রেকর্ড। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে তিনি লেখেন, '৩০ কোটি ভক্তরা টিভিতে দেখেছেন ২০২৩ ফাইনাল। এটি ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে যে কোনো ধরনের সবচেয়ে বেশি দেখা ইভেন্ট। পিক টিভি কনকারেন্সিও ১৩ কোটির ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে (পিক ডিজিটাল কনকারেন্সি ছিল ৫.৯ কোটি, এটিও একটি বিশ্বরেকর্ড)। খেলার প্রতি ভারতীয় ভক্তদের ভালবাসা এবং আবেগ দেখে আমরা আবারও গর্বিত। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।'

এ ছাড়া আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত একটি রেকর্ডে আগের সব বিশ্বকাপ আসরকে ছাড়িয়ে গেছে। দর্শকসংখ্যায় অনন্য মাইলফলক গড়েছে এবারের ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আসর। আইসিসির তথ্যমতে, মাঠে বসে এই টুর্নামেন্টের ৪৮টি ম্যাচ দেখেছে ১২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৭ দর্শক।

এর আগে দর্শকসংখ্যায় শীর্ষে ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপ আসর। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দর্শক হয়েছিল ১০ লাখ ১৬ হাজার ৪২০ জন। এরপর অবশ্য আরও একটি আসর বসেছিল ইংল্যান্ডে। সেখানকার ম্যাচগুলোতে দর্শকদের ভালো উপস্থিতি দেখা গেলেও আগের আসরকে তারা ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। সেখানে হওয়া ৭ লাখ ৫২ হাজার দর্শক আসরের হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

এফআই