মারাকানায় কুরুক্ষেত্র নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ মানেই দুই দলের সমর্থক ও খেলোয়াড়দের মাঝে বাড়তি উন্মাদনা। গতকাল (বুধবার) ব্রাজিলের মারাকানায় রোমাঞ্চকর সেই লড়াইয়ের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দেয় মাঠের বাইরের ঘটনা। ম্যাচের ফল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন সমর্থকদের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ।
ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত চলাকালেই দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করেন ব্রাজিলের কিছু সমর্থক। একপর্যায়ে দুই পক্ষের দর্শকদের সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ লাঠিচার্জের আশ্রয়ও নিয়েছিলেন। ব্রাজিলের দাঙ্গা পুলিশের এমন মারমুখী আচরণ ভালোভাবে নেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। দলের অন্যরাও জড়ো হয়েছিলেন গ্যালারির সামনে।
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে প্রতিবাদ জানাতে দলকে মাঠ ছাড়ার ইঙ্গিত দেন লিও। যার সুবাদে খেলাও বন্ধ ছিল লম্বা সময় ধরে। ম্যাচের পর ব্রাজিল পুলিশের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে এমন ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ মেসি মাঠের খেলার দিকে ব্রাজিলিয়ানদের মনোযোগ নেই বলেও সরাসরি কটাক্ষ করেছেন, 'আমরা দেখেছি পুলিশ কিভাবে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছিল। আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও ওখানে ছিল। কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালেও একই কাজ করেছে তারা (ব্রাজিলের পুলিশ)। মাঠে খেলার চেয়ে সেসবেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকে।'
আরও পড়ুন
এদিকে, চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন ব্রাজিল তারকা নেইমার। গতকাল খেলতে না পারলেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচটি দেখেছেন তিনি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি যেন তাকেও স্পর্শ করেছে। তিনিও হামলাকারীদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ হতে পারতেন বলে আশঙ্কা করেছেন। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘ভালো খেলা ছিল। ক্লাসিক ও বেশ উত্তাপ ছিল। এই ম্যাচ খেললে আমি তো অনেক মার খেতাম। আমার কাছে এটা তালগোল পাকানো এক ম্যাচ মনে হচ্ছিল।’
অন্যদিকে, গ্যালারিতে মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। এক বিবৃতিতে সিবিএফ বলছে, ‘এটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার যে ম্যাচ আয়োজন ও পরিকল্পনার অত্যন্ত সতর্কতা এবং কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল সিবিএফ। মাঠে থাকা দুই দলের প্রতিনিধি সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, এমনকি রিও ডি জেনেইরোর সামরিক পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পুরো ম্যাচের আয়োজন— বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টি ঠিক রাখতে আমরা প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সভায় নির্ধারণ করেছিলাম।’
এফআই