অনেকটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েই শেষ হয়েছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। যেখানে ভারতকে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের হাইভোল্টেজ ম্যাচটিতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই মাঠে ঢুকে পড়েন এক সমর্থক। গায়ের টি-শার্টে ফিলিস্তিনের হামলা থামানোর আহবান আর মুখে ছিল দেশটির পতাকার আদলে মাস্ক। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক পরিচয় দেওয়া সেই তরুণ এখন কোথায়?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস বলছে, গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় তাকে আদালতে তোলা হয়েছিল। পরে আদালত তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন গুজরাটের গান্ধীনগর আদালত। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ওই যুবককে আদালতের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। বলা হয়— পরবর্তী তদন্তেও যেন তিনি সহযোগিতা করেন।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম ওয়েন জনসন। গত রোববার বিকেলে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় ইনিংসের ১৪তম ওভারের ঘটনা। আচমকা মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। মুখে ফিলিস্তিনি পতাকার আদলে মাস্ক, গায়ের সাদা টি-শার্টে লেখা– ‘বোমা ফেলা বন্ধ করো, ফিলিস্তিন মুক্ত করো।’ মাঠে ঢুকেই ক্রিজে কোহলির কাছাকাছি চলে যান ওই আগন্তুক। পরে তিনি ভারতীয় তারকাকে জড়িয়ে ধরারও চেষ্টা করেন। পরক্ষণেই মাঠের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা তাকে দ্রুত মাঠ থেকে সরিয়ে নেন।

পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় ওই যুবককে। তার বিরুদ্ধে মাঠে অনুপ্রবেশ ও সরকারি কর্মীদের ডিউটিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরদিন (সোমবার) তাকে তুলে দেওয়া হয় আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে। জনসনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিনি সাধারণ দর্শক হিসেবেই গ্যালারিতে এসেছিলেন। একপর্যায়ে কোনোভাবে সুরক্ষা বলয় ও রেলিং টপকে মাঠে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর তিনি বিরাট কোহলিকে আলিঙ্গনও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুতই তাকে তাড়া করে ধরে ফেলেন নিরাপত্তা বাহিনী। পরে জনসন পুলিশকে জানান তিনি বিরাট কোহলির ফ্যান।

পরবর্তীতে শোনা যায়, ওই ব্যক্তি এর আগেও মাঠে ঢুকে পড়ার নজির রয়েছে। নিজের দেশেও একইভাবে মাঠে ঢুকে পড়ে শোরগোল ফেলে দিতেন জনসন। এবার ভারতে এসেও তিনি একই কাণ্ড ঘটালেন।

এর আগে আটকের পর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে জনসন ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে এসেছেন। মূলত বিরাট কোহলির সঙ্গে দেখা করতেই মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। এছাড়া তিনি ফিলিস্তিনি সমর্থক বলেও জানান। 

এএইচএস