ভারতের ফাইনাল হারের শোক ভুলতে একদিন ছুটি
বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর ফাইনাল হয়েছে দুদিন আগে, অবশ্য স্বাগতিক ভারতীয় সমর্থকদের মনে পরাজয়ের স্মৃতি এখনও হয়তো সতেজ! অথচ পুরো টুর্নামেন্টেই রোহিত শর্মাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স স্বাভাবিকভাবেই তাদের এগিয়ে রেখেছিল। যা সমর্থকদেরও ১২ বছর পর তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের দিনটা ভারতের ছিল না, দলীয়ভাবে তাদের আশানুরূপ পারফর্ম না হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয় অজিবাহিনী। এমন হারের শোক ভুলতে পরদিন (সোমবার) কর্মচারীদের ছুটি দেয় ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান।
এর আগে রোববার ফাইনাল খেলা থাকায়, ভারতীয় সমর্থকরা ছুটির মেজাজে খেলা দেখতে বসেছিলেন। কিন্তু হারের হতাশা সঙ্গী করে পরদিন অফিসে যোগ দিয়ে কাজ করাটা সত্যিই সহজ হতো না ভারতীয়দের পক্ষে। বিষয়টি মাথায় রেখেই অভিনব এই পদক্ষেপ নেয় গুরুগ্রামের একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। ফাইনালে ভারতের হারের হতাশা থেকে মুক্তি পেতে সোমবারও ছুটি দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবাই যেন মঙ্গলবার পুরোদমে কাজ করতে পারেন, সেকথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফাইনালে রোহিতদের হারের পর গুরুগ্রামের মার্কেটিং মুভস নামক ওই কোম্পানির কর্মী দীক্ষা গুপ্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাইট লিঙ্কডইনে লেখেন, ‘আজকে সকালে ওঠে আমি আমার বসের কাছ থেকে একটি মেসেজ পাই। যেখানে লেখা হয় হারের (ফাইনালে ভারতের হার) হতাশা কাটাতে কোম্পানির পক্ষ থেকে সকল কর্মচারীকে একদিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই সারপ্রাইজটা আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারিনি। আমাদের কাছে অফিসিয়াল ইমেইল আসার পরই ব্যাপারটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়।’
পরে দীক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান চিরাগ আলাওয়াদি যে ছুটির মেসেজটি পাঠিয়েছেন তার স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘হাই টিম। বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের হারের প্রভাবটা আমাদের কর্মীদের ওপর কতটা পড়েছে, তা আমরা বুঝতে পারি। এই কঠিন সময়ে কর্মচারীদের কিছুটা সহায়তা করতে কোম্পানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সবাইকে একদিনের ছুটি দেওয়ার। আমি বিশ্বাস করি এই ছুটি সকলকে হতাশা কাটিয়ে নিজেদের ফর্মে ফিরে আসতে সাহায্য করবে। আমি নিশ্চিত, আমরা আরও দৃঢ়ভাবে ফিরে আসব।’
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায়। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ লোকেশ রাহুলের ৬৬, বিরাট কোহলি ৫৪, রোহিত শর্মার ৪৭ ছাড়া আর বলার মতো কেউ রান পাননি। পরে রান তাড়া করতে নেমে ট্র্যাভিস হেডের অনবদ্য ১৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে মাত্র চার উইকেট হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্যাট কামিন্সরা। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা নিশ্চিত করে।
এএইচএস