দুই আসর পর আরও একবার বিশ্বকাপে ফিরছে গ্রুপ পর্ব এবং নকআউট পর্বের হিসেব। আর ২৪ বছর পর ফিরবে সুপার সিক্স। সবশেষ ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সবশেষ দেখা গিয়েছিল এমন কিছু। দুই যুগ পর আবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরছে বিশ্বকাপ। সঙ্গে ফিরছে সুপার সিক্স পর্ব।  একইসঙ্গে বিশ্বকাপের পরের এই আসরে বাড়ছে দলের সংখ্যা। ১০ দলের বিপরীতে ১৪ দল খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে আসরের বিশ্বকাপ।

মূলত আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর ক্রমাগত চাপের কারণেই এই দল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের মত দলের না থাকা কিংবা এবারের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুপস্থিতি নতুন করে দল বাড়ানোর বড় কারণ। তবে এমন সিদ্ধান্তে চটেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবং আইসিসির ব্রডকাস্টিং পার্টনার ডিজনি প্লাস হটস্টার।

নকআউট ঘরানার এই আসরে ভারত আগেই বাদ পড়লে বিশ্বকাপের দর্শক কমে যাবে এমন আশংকা থেকেই মূলত বিরোধিতা তাদের। আর ভারতীয় বোর্ডেরও এতে সায় আছে। 

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি মেইল প্রচার করেছে এই খবর। কয়েকবছর আগেই আইসিসির সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করেছে ডিজনি স্টার। তার ১২ মাস পরেই আইসিসি ঘোষণা দেয় ২০২৭ বিশ্বকাপে দল হবে ১৪টি। যার অর্থ এতে গ্রুপ পর্ব থাকবে। তাতে ভারতের ম্যাচ কমে আসবে। সেইসঙ্গে কমে যাবে ভিউয়ারশিপ। 

আর ভিউ কমলেই কমে যাবে আয়। অর্থাৎ ভারতের ম্যাচ কমলেই কমবে বিশ্বকাপের আয়। আর এতে করে ভারতের দ্রুত বাদ পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ঠিক যেমন হয়েছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে। সেবার গ্রুপ পর্ব থেকেই ভারতের বিদায়ে কমে এসেছিল আইসিসির আয়। মূলত এসব কারণেই ১৪ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে বিরোধিতায় মেতেছে ভারত এবং ডিজনি প্লাস। 

আইসিসি আপাতত জানিয়েছে এই আবদারে সায় দেওয়ার কোন ইচ্ছে তাদের নেই। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ভারত এবং সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের সামনে তারা কতখানি টিকে থাকতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে অবশ্য ১ বছর সময়ও হাতে আছে। 

জেএ