৬ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভারতকে কাঁদালেন হেড
২০২৩ সাল আর ট্রাভিস হেড। এই দুটো বিষয়কে খুব দ্রুত ভুলে যেতে চাইবেন ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা। এই এক ট্রাভিস হেডের কারণেই যে গত ৬ মাসে দুই কপাল পুড়েছে তাদের। চলতি বছর ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রাভিস হেডের কাছেই যে হেরে গিয়েছিল ভারত। ইংল্যান্ডের ওভালের পর এবার ভারতের আহমেদাবাদ, ভারতবধের নায়ক সেই হেড।
ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শুরুতেই অজিদের চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারত। ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল তারা। সেখান থেকেই শুরু হয় হেডের প্রতিরোধ। স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে গড়েন ২৯৫ রানের অনবদ্য জুটি। সাজঘরে যখন ফিরছেন তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৬৩ রান। শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস যায় ৪৬৯ পর্যন্ত। যেখান থেকেই ম্যাচ জয়ের ভিত পেয়ে যায় তারা। আর এতে বড় রকমের অবদান ছিল ট্রাভিস হেডের।
বিজ্ঞাপন
এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালেও বাজিমাত করেছিলেন সেই হেডই। বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে চোট পান বাঁহাতি ওপেনার ট্রাভিস হেড। স্ক্যানে চিড় ধরা পড়ে তার। এরপরেও তাকে দলে রাখা হয়েছিল। আর সেটার প্রতিদানও উজাড় করে দিয়েছেন এই অজি ব্যাটার।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে নিজেকে ভালোভাবেই মেলে ধরেছিলেন। সেমিফাইনালেও হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এরপর ফাইনালে খেললেন ১৩৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। অথচ পঞ্চাশ পেরুনোর আগেই দলের তিন উইকেটের পতন বাড়তি চাপ ফেলেছিল তার উপর।
আরও পড়ুন
সেখান থেকেই মার্নাস ল্যাবুশেনকে নিয়ে খেলেছেন ম্যাচজয়ী ইনিংস। দরকারে বুঝেশুনে এগিয়েছেন। আবার কখনো পাল্টা আক্রমণ করে ভারতীয় বোলারদের মনোবল ভেঙেছেন। প্রায় বেশিরভাগ সময় ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি বের করে এনে ম্যাচটাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে এসেছিলেন এই হেডই।
তবে শুধু ব্যাট হাতেই না, এদিন ফিল্ডিং দিয়েও নজর কেড়েছিলেন হেড। রোহিত শর্মার ক্যাচ যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিয়েছিলেন, তাতেই যেন ম্যাচের চিত্রনাট্য অনেকটা লিখে ফেলেছিল অজিরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর ওয়ানডেতেও তাই ভারতক শিরোপাবঞ্চিত করার কারিগর এই ট্রাভিস হেড।
জেএ