দেড়মাসের বিশ্বকাপ কর্মযজ্ঞ শেষ হচ্ছে আজ (রোববার)। তার আগে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই ফাইনালে মুখোমুখি স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার সামনে, আর দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত নামছে ২০০৩ বিশ্বকাপের শোধ নেওয়ার আশায়। যদিও বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রায় সব পরিসংখ্যানই কথা বলছে অজিদের পক্ষে। তবুও চলতি আসরে অপরাজেয় ভারত তাতে পাত্তা দিতে রাজি নয়।

আর মাত্র ঘণ্টা খানেক পরই দুই দলের ক্রিকেট মহারণ শুরু হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। যেখানে রোহিত শর্মারা এবারের রাউন্ড রবিন লিগের খেলায় অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে নামবে। পিছিয়ে নেই অস্ট্রেলিয়াও, তারাও টানা ৮ ম্যাচ জিতে অষ্টমবারের মতো ফাইনালে পা রেখেছে।

এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ফরম্যাটে ম্যাচ খেলেছে ১৫০টি। যার শুরুটা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। যেখানে জয়ের পাল্লাটা অজিদের দিকে ভারী। ভারতের ৫৭ জয়ের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার রয়েছে ৮৩ জয়। আর ১০টি ম্যাচ ফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। যদিও সবশেষ পাঁচ দেখায় এগিয়ে রয়েছে ভারত। রোহিত শর্মাদের ৩ জয়ের বিপরীতে প্যাট কামিন্স বাহিনীর জয় রয়েছে ২টিতে। ভারতের মাঠে মুখোমুখি লড়াইয়ে দুই দলই সমানে সমান। ৭১ ম্যাচের মধ্যে দুই দলই জিতেছে ৩৩টি করে ম্যাচ। এছাড়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়া মোট ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ভারত ৫ বার এবং ৮ ম্যাচে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।

চলতি বিশ্বকাপে এখনও হারেনি স্বাগতিক ভারত। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও হেরেছিল অজি বাহিনী। তবে এই দুই হারের পরে ঘুরে দাঁড়ায় ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। টানা জয়ে এখন দলটি শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। 

পরিসংখ্যানের চেয়েও যে বিষয়টা ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার তা হচ্ছে– গত ১০ বছর ধরে তারা কোন আইসিসি ট্রফি জিতেনি। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ২০১৩ সালে। ঘরের মাঠে শেষবার তারা বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০১১ সালে। এর ভেতর অবশ্য রোহিত-কোহলিরা দুবার আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেও শিরোপা হাতছাড়া করেছে। এবার তারা সেই ট্রফিখরা কাটাতে পারে কি না— তা জানতে আর অল্প সময়েরই অপেক্ষা!

এএইচএস