টানা ১০ ম্যাচ জিতে অপ্রতিরোধ্য ভারত। চলতি বিশ্বকাপে কোনো দলই আটকাতে পারেনি টিম ইন্ডিয়ার বিজয়রথ। যখনই প্রয়োজন পড়েছে নিজেদের মেলে ধরেছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। বোলিং-ফিল্ডিং... সব বিভাগেই কার্যত বিশ্বের সেরাদের মতো পারফর্ম করেছেন তারা। কিন্তু, কী হবে রোববার? আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। 

কে জিতবে কে হারবে তা সময় বলবে। কিন্তু, এবারের বিশ্বকাপে অসাধারণ ফর্ম দেখিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এ যাবৎ সাতটি শতরান হাঁকিয়েছেন তারা। এর মধ্যে বিরাট কোহলিরই ৩টি এবং ২টি শ্রেয়াস আইয়ারের ঝুলিতে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ফাইনালে কোনো ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করতে পারেন কি না সেদিকেই এখন তাকিয়ে ভক্তরা। তবে, এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে ছয় জন কিংবদন্তি শতরান হাঁকিয়েছেন। কারা রয়েছেন সেই তালিকায়?

ক্লাইভ লয়েড : ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বিশ্বকাপজয়ী ক্লাইভ লয়েড ১৯৭৫ সালের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লর্ডসে ৮৫ বলে ১০২ রান করেছিলেন।

ভিভিয়ান রিচার্ডস : লর্ডসেই ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে ১৫৭ বলে ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার ভিভ রিচার্ডস।

অরবিন্দ ডি সিলভা : লাহোরে আয়োজিত ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১২৪ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা।

রিকি পন্টিং : ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ১২১ বলে ১৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং।

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট : ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১০৪ বলে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটকিপার ও ব্যাটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

মাহেলা জয়বর্ধনে : শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক মাহেলা জয়বর্ধনে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ৮৮ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

এর আগে তিনবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেও, কোনো ভারতীয় ব্যাটারই শতরান হাঁকাতে পারেননি। কিন্তু, চলতি বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটাররা যে ফর্মে রয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে রোববারই সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।

এবারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ‘মেন ইন ব্লু’। কিউইদের বিরুদ্ধে ম্যাচে বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করেছিলেন রোহিত ও শুভমন। পরে বিরাট ও শ্রেয়াস এসে ব্যাট ধরে শতরান হাঁকান। যার হাতে ধরে বিশাল টার্গেট খাঁড়া করতে সক্ষম হয় রোহিত-বাহিনী।

এসএম