দেড় মাসের ক্রিকেট মহারণ প্রায় চূড়ান্ত গন্তব্যে এসে পৌঁছেছে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার হাইভোল্টেজ ফাইনাল আগামীকাল (রোববার) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে স্বাভাবিকভাবে স্বাগতিক ভারত দর্শকদের চাপে থাকবে অজিবাহিনী। তাই অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সংবাদ সম্মেলনেও সেই বিষয়টাই অনেকটা সময় ধরে আলোচিত হয়েছে। গ্যালারিভর্তি ‘নীল সমুদ্রে’র সামনে তিনি পাল্টা জবাব দিতে চান চ্যাম্পিয়ন ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মাধ্যমে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম গুজরাটের এই ফাইনাল ভেন্যু। যেখানে এক লাখ ৩০ হাজার দর্শকের সামনে কামিন্সরা মোকাবিলা করবেন রোহিত শর্মার দলকে। সেখানে একপাক্ষিক সমর্থন থাকবে— মেনে নিয়েই মাঠে নামতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া। এমনকি তাদেরকে স্তব্ধ করে দেওয়ার উপায়ও জানেন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটির অধিনায়ক।

ম্যাচের আগেরদিন আজ (শনিবার) সংবাদ সম্মেলনে কামিন্স বলেন, ‘আমাদের এটিকে (বিশাল দর্শক) সাদরে গ্রহণ করতে হবে। এখানকার দর্শক অবশ্যই ভারতের পক্ষে থাকবে। তবে এমন বিশাল দর্শককে চুপ করিয়ে দিতে পারার চেয়ে স্বস্তির কিছু হতে পারে না। কাল এটাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে। আমাদের এটিকে মেনে নিতে হবে। ফাইনালের যেকোনো পরিস্থিতিই মেনে নিতে আমরা প্রস্তুত। রাতে অনেক চিৎকার-চেঁচামেচি হবে। এখানে উল্লাসে ভেসে যাওয়া যাবে না। আপনাকে এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই ভালো করতে পারবেন। চেষ্টা করতে হবে কোনো দুঃখ ছাড়াই যেন শেষ করতে পারেন।’

একইসঙ্গে নিজেদের সামর্থ্যেও আস্থা রাখছেন অজি অধিনায়ক, ‘এখানে গ্যালারি পরিপূর্ণ থাকবে। ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ থাকবে ভারতের সমর্থনে। এটা বেশ ভালো কিছুই হবে। ভারত দুর্দান্ত খেলছে। তারা টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত রয়েছে। তবে আমরা জানি, আমরা ভালো ছন্দে থাকলে ভালো করতে পারব। তাদের সঙ্গে আমরা আগেও বেশ কয়েকবার খেলেছি। আশা করছি দারুণ একটি ফাইনাল হবে।’

আহমেদাবাদের পিচ এবং আবহাওয়া নিয়েও কথা বলেছেন কামিন্স, ‘এই শহর ও ভেন্যুতে অন্যগুলোর তুলনায় বেশি কুয়াশা থাকবে মনে হচ্ছে। আগামীকাল নামার আগে এটি অবশ্যই আমাদের বিবেচনায় রয়েছে এবং এটি বেশি প্রভাব রাখতে পারে ম্যাচের শেষের দিকে। তবে এটি বলা কঠিন বোলিংয়ে কেমন সহায়তা পাওয়া যাবে, সম্ভবত প্রথম ২০ ওভারে কিছুটা সুইং থাকবে।’

এর আগে রাউন্ড রবিন লিগের খেলায় ভারতের বিপক্ষে সেভাবে লড়াইও দেখাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে টানা ১০ ম্যাচ জেতা অপ্রতিরোধ্য ভারতকে অনেকেই স্পষ্ট ফেভারিট বলে দাবি করছেন। তবে ফাইনালে ভালো কিছুরই আত্মবিশ্বাস কামিন্সের কণ্ঠে, ‘সবচেয়ে মজার বিষয়— আমি এখনও জানি যে আমরা পূর্ণাঙ্গ পারফরম্যান্স দেখাতে পারিনি। সম্ভবত নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পুরো ম্যাচ খেলেছি কেবল। এছাড়া বাকি সব ম্যাচেই জয়ের জন্য আমাদের অনেক লড়তে হয়েছে। একেক ম্যাচে আমাদের একেক ক্রিকেটার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা এখন যেকোনো দলকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।’

এসএইচ/এএইচএস