এমন দুঃসময় হয়ত আগে কখনোই দেখেনি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট। মাঠের ক্রিকেটে দুর্দশা সব দলেই দেখা যায়। তবে লঙ্কান ক্রিকেটে এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাঠের বাইরের নানাবিধ বিতর্ক। বিশ্বকাপে পয়েন্ট তালিকার নম্বরে ছিল তারা। স্বাভাবিকভাবেই তাই ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ তাদের হচ্ছেনা। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা।  

বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে এসএলসির সদস্যপদ স্থগিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরেই পুরো বোর্ডকেই বরখাস্ত করেছিলেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি আইসিসি। 

এসবের মধ্যেই ভারতের এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহকে দোষারোপ করে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট কিংবদন্তি অর্জুনা রানাতুঙ্গা। জয় শাহ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং তাঁর বাবা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রভাব খাটিয়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছেন। 

তার অভিযোগ, ‘এসএলসির কর্মকর্তা ও জয় শাহর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বিসিসিআইয়ের ধারণা, ওরা এসএলসিকে চাইলেই পদদলিত ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ভারতের একটা লোক শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ওর চাপে এসএলসি তছনছ হয়ে যাচ্ছে।’ 

তবে এসব মন্তব্যের কারণে এবার জয় শাহর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কান সরকার। দেশটির দুই দুই মন্ত্রী কাঞ্চনা ভিজেসেকেরা ও হারিন ফার্নান্দো রানাতুঙ্গার মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করে জয় শাহর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা ভিজেসেকারা বলেছেন, ‘আমি সরকারের পক্ষ থেকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান জয় শাহ কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। নিজেদের প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার (শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড) ত্রুটির জন্য আমরা তাঁর দিকে বা অন্য কোনো দেশের দিকে আঙুল দিতে পারি না। এটা একটা ভুল ধারণা।’ 

অন্যদিকে পর্যটন ও ভূমিমন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো বলেছেন, ‘এসএলসির ওপর আইসিসির আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আলোচনা করতে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ইতিমধ্যেই জয় শাহর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। 

জেএ