ওয়ানডে ক্রিকেট এখন কারও কাছে বিরক্তিকর আবার কারও কাছে অর্থহীন! কেউ কেউ তো ৫০ ওভারের ক্রিকেট দেখে এখন আর তৃপ্তি পান না। এক সময়ের জনপ্রিয় সংস্করণ টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাপে খানিকটা পিষ্ট। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। তাতে করে অস্তিত্ব শঙ্কায় ৫০ ওভারের ক্রিকেট। ওয়ানডেকে বাঁচাতে সেটিকে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী।

মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সভাপতি মার্ক নিকোলাসের এক মন্তব্যে আরও শঙ্কা বেড়েছে ওয়ানডের ভবিষ্যত নিয়ে। বিশ্ব ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার সভাপতির চাওয়া শুধু বিশ্বকাপেই খেলা হোক ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। যদিও শাস্ত্রী মনে করেন, দর্শকদের উৎসাহ বাড়াতে এবং ওয়ানডে ক্রিকেটেকে বাঁচাতে পরিবর্তন দরকার।

অ্যাডাম গিলক্রিস্টের এক প্রশ্নের জবাবে শাস্ত্রী বলেন, ‘আমরা (ভারত) ১৯৮৩ সালে যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, তখন এটি ছিল ৬০ ওভারের খেলা। পরবর্তী সময়ে এটি পরিবর্তন করে ৫০ ওভারে নামিয়ে আনা হয়েছে। আপনাকে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হতে হবে। কারণ একজন দর্শকের (খেলায়) মনোযোগের সময় কমে যাচ্ছে।’

ওয়ানডে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে বিভিন্ন সময়ে অনেক সাবেক ক্রিকেটারই মত দিয়েছেন। ‘একঘেয়ে’ হয়ে যাওয়া এই সংস্করণকে বাঁচাতে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনার পরার্শ দিয়েছিলেন বেন স্টোকস ও শহিদ আফ্রিদি। এদিকে শচিন টেন্ডুলকারের চাওয়া অবশ্য টেস্টের মতো ওয়ানডেতে চার ইনিংস। যেখানে প্রতি ২৫ ওভারকে ধরা হবে একটি ইনিংস হিসেবে।

শাস্ত্রী অবশ্য স্টোকস, আফ্রিদিদের সুরেই কথা বলেছেন। ভারতের সাবেক প্রধান কোচ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথটা হতে হবে ৪০ ওভারের। যা এখনও ওয়ানডে সংস্করণকে অন্যান্য সংস্করণের সঙ্গে সমান জনপ্রিয় করে রাখবে। আমি ভিড়ের মধ্যে দেখি যে তারা (দর্শকরা) টসে কি হয় সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করে।’

‘যদি তাদের (ভক্তের) প্রিয় দল ব্যাটিং করে, তাহলে তারা মাঠে ছুটে যাবে। কিন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ বা ১৫ ওভার পর তারা ঠিকভাবে খেলা দেখবে না। একই ব্যাপার...যদি ভারত পরের ইনিংসে ব্যাট করে তাহলে আমি প্রথম ইনিংসের শেষ ১০ থেকে ১২ ওভার দেখতে মাঠে যাবো। তারপর আমি আমার দলের ব্যাটিং দেখবো।’-আরো যোগ করেন তিনি।

এইচজেএস